Main Menu

সিএনজি থেকে নামিয়ে দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ভুক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পারভেজ (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তাদেরকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী দুইজন সম্পর্কে চাচাতো বোন। রাজধানীর এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন তারা।

ওই দুই বোন জানায়, ১৫ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২টার দিকে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন তারা। উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন ওই দুই বোন। রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডের নতুন যাত্রী ছাউনির সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নতুন ব্রুজের মুখে গিয়ে কামাল বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে প্রবেশ করেন।

করিমপুর সংলগ্ন বাঁধে গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন কামাল। এ সময় কামালের বন্ধু রায়হান, পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সঙ্গে ছিলেন। সেখানে তারা ধর্ষণের শিকার হন।

তারা আরো জানান, তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ জিনিসপত্র লুটে নেয় কামালসহ অন্যান্যরা। পরে ওই চক্রটি পালিয়ে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে পারভেজ ও রায়হান বলেন, তারা ধর্ষণ করেনি এবং টাকাও নেয়নি, সবকিছু কামাল করেছে।

দুই বোন জানান, তারা দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে ঢাকায় কাজ করছিলেন। ১৫ জানুয়ারি তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এর মধ্যে একজনের বিয়ের কথা চলছিল। এ জন্য তারা তাদের জমানো বেতনের টাকা ও কেনাকাটা করে নিয়ে আসছিলেন। সবকিছু লুটে নেয় ওই চক্রটি।

বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই জানায়, ‘আমার বোনকে চারজন মিলে নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে।’

আরেক ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ‘সড়কে নিরাপত্তা নেই, আমার বোনকে তারা অত্যাচার করেছে।’

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ওই চক্রটি বেশ কিছু দিন ধরে গাড়ি চালানোর ফাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে অশুভ আচরণসহ নানা অপকর্ম করছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যাত্রী সাধারণ।

 

Share





Related News

Comments are Closed