Main Menu

সিলেটে যুবদলকর্মী হত্যা, ৩ আসামীকে আদালতে নেওয়ার সময় মারধর

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটে যুবদলকর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীকে আদালতে তোলার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত চত্বরে ওই তিন আসামীর উপর হামলা করেন। এর আগে বুধবার ওই তিন আসামীকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিন আসামী হলেন- সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুনু মিয়া মঈন, মহানগরীর শাহপরাণ বাহুবল এলাকার রাসেল আহমদ ও জাকির আহমদ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ৩ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ছগির আহমদের আদালতে তোলা হয় তিন আসামীকে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামীদের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের হামলে পড়ে মাথায় মুখে চড়, থাপ্পড় ও লাথি মারতে থাকেন। পরে পুলিশ দ্রুত আসামীদের আদালতের ভেতর নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, হামলায় তিন আসামিই আহত হন। আদালতের কাজ শেষে আসামিদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যার পর রাসেল আহমদ ও জাকিরকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় রুনু মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহপরান থানা-পুলিশ আসামিদের আদালতে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু ব্যক্তি অতর্কিতে আসামিদের ওপর হামলা করে। পুলিশ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।

এরআগে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের শাহপরান বাহুবল এলাকায় বিলাল আহমদ মুন্সীকে হত্যা করা হয়। দুই ছাত্রের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকোলে খুন হন বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে বিলাল আহমদ মুন্সী। তিনি নগরের ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুল ছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র দ্বিন্দ্বে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাটি এলাকায় সালিশ বৈঠকেও গড়ায়। এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষে জড়িয়ে পড়ে যুবদল-ছাত্রদলের উপশহর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ঘটনার রাতে একটি পক্ষে নাদিম, মিজান, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল কবীর সোহেলের নেতৃত্বে যুবদলের উপশহর গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাহুবল এলাকায় যান। তারা এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে হামলায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী নিহত হন। নিহত যুবদল নেতার হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৭ নভেম্বর নিহত বিলালের ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা) মহানগরের শাহপরান থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Share





Related News

Comments are Closed