Main Menu

ছাত‌কে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে টাকা না পেয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ছাতক প্রতি‌নি‌ধি: ছাত‌কে এসআলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখা থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন ব্যাংকে গিয়েও টাকা তুলতে পারছেন না তারা। ব্যাংক থে‌কে প্রতিদিনে গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেও বেশির ভাগ গ্রাহকরা খা‌লি হা‌তে ফির‌ছেন। এতে ১৩ হাজার গ্রাহক তাদের জমাকৃত টাকা উত্তোলন কর‌তে পা‌ছেন না।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপু‌রে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখায় ‌গি‌য়ে দেখা গেছে, গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। এ ব‌্যাং‌কের দিনে ১৮০ থেকে ১৯০ জন গ্রাহক জড়ো হন টাকা উত্তোলনের জন্য। কিন্তু এ শাখাতে তারল্য সংকট থাকায় এবং গ্রাহকরা নতুন করে টাকা জমা না দেওয়ায় নগদ টাকার সংকট কাটছে না।

জানা গেছে, ব্যাং‌কে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ও রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বন্ধ থাকার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম বুথেও টাকা দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে ১৩ হাজার গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

এ ব‌্যাংকের গ্রাহক ছা‌বিনা খানম ব‌লেন, ব‌্যাং‌কে ৪ লাখ টাকা জমা রে‌খে‌ছি। তারা আমাকে মাত্র ৫ হাজার টাকা দেয়। গত দুই সপ্তাহ টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই।

গ্রাহক রুকসনা বলেন, বাচ্চার অসুখ নিয়ে ব্যাংকে এসেছি, টাকা তুলতে। ব্যাংক কোনও টাকা দিচ্ছে না। ওষুধ কিনবো কেমনে? তাদের মার‌পিট কর‌লে টাকা বের হবে না।

গ্রাহকরা চেকে স্বাক্ষর করে টাকার অঙ্ক না লিখে তা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জমা রেখে যাচ্ছেন। যেন ব্যাংকে টাকা জমা হলে সামান্য কিছু হলেও পান। শত শত গ্রাহক জড়ো হয়ে আছেন ব্যাংকটির ক্যাশ কাউন্টার ও ব্যবস্থাপক কক্ষের সামনে। গ্রাহকরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টাকা পাচ্ছে না।

ব্যাংকের জু‌নিয়র ক‌্যা‌শ অ‌ফিসার ও ক‌্যাশ ইনচার্জ শাহজাহান ব‌লেন ব্যাংকে গ্রাহক টাকা জমা দিচ্ছেন না। সবাই শুধু নিতে আসেন। প্রতিদিন গ্রাহকের টাকা জমা প্রদান সাপেক্ষে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।

এব‌্যাপা‌রে ব‌্যাংক ব্যবস্থাপক না‌সিম আহমদ চৌধুরী টাকা সংক‌টের সত‌্যতা স্বীকার করে ব‌লেন প্রতি‌দিন গ্রাহকদের ৫ হাজার থে‌কে ১০ হাজার টাকা ক‌বে দেয়া হ‌চ্ছে। একসঙ্গে সব গ্রাহকরা টাকা তুলতে আসছে। কিন্তু নতুন করে গ্রাহকরা টাকা জমা না দেওয়ার ফলে এ সংক‌ট দেখা দেয়।

এদি‌কে উপ শাখা ইউনিয়ন ব্যাংকের গো‌বিন্দগঞ্জ শাখায় টাকা তুলতে আসা গ্রাহক মিলন বলেন, গত দুই মাসেও টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। তাহলে আমাদের জমানো টাকা কই গেলো।

এব‌্যাপা‌রে ইউনিয়ন ব‌্যাং‌কের উপ শাখার ইনচার্জ জা‌মিল আহমদ ব‌লেন টাকা সংকটে কথা স্বীকার ক‌রে ব‌লেন প্রতি‌দিন ৩০-৩৫জন গ্রাহক ব‌্যাং‌কে আসেন চেক নি‌য়ে নগদ টাকা তুল‌তে। অ‌নেক গ্রাহক‌দের চা‌হিদা ম‌তো টাকা দি‌তে পার‌ছেন তারা। এব‌্যাপা‌রে কর্তৃপ‌ক্ষের সু‌দ‌ষ্টি কামনা কর‌ছেন গো‌বিন্দগঞ্জবাসী।

Share





Related News

Comments are Closed