Main Menu

অনশনে বসা দুই প্রেমিকাকেই বিয়ে করতে রাজি শাহীন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় এক তরুণকে বিয়ে করতে অনশনে বসেছেন দুই তরুণী। আর দুই প্রেমিকাকেই বিয়ে করতে রাজি শাহীন নামে তাদের প্রেমিক। শাহীন উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে।

শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে শাহীনের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অনশন করেন দুই তরুণী।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। রুনার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে যান।

এদিকে এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অনশনের খবর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। দুই পরিবার তাদের বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় পরে রুনার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন। অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে এসেছেন বিয়ের দাবিতে।

রুনা বলেন, শাহীনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেম। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি তাকে। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহীনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। এ কারণে পরিবার আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি শাহীনের বাড়িতে এসে উঠেছি। আমি শাহীনকেই বিয়ে করব। শাহীন যদি ওই মেয়েকে (সাদিয়া) বিয়ে করে তাও আমার কোনো সমস্যা নেই।

অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহীনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে আমার। এরআগে শাহীন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি তার বাড়িতে আসি। শাহীনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহীনের বাড়িতে আরেক মেয়ে এসেছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে এসেছে তাদের দুজনের সঙ্গেই আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু কারও সঙ্গে এখন নেই। তবে তারা যেহেতু আমাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে এসেছে,তাই তাদের দুজনকেই বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই আমার।

তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় জানা গেছে, দুই তরুণীর একজনকে বিয়ে করেছেন শাহীন।

হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে বিয়ে করেছেন শাহীন।

Share





Related News

Comments are Closed