Main Menu

ভারতীয় ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহযোগিতা করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

একই অভিযোগে এর আগে বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এতদিন তেমন বড় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় ভারতকে সতর্ক করা হলেও তারা বিষয়টি উপেক্ষা করে গেছে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হলো ভারতীয় প্রতিষ্ঠানও।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ একাধিক দেশের রাশিয়ার কাছে বিভিন্ন পণ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্য বিক্রিতে বাধা দেওয়াই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য এসব পণ্য যুদ্ধ ও শান্তি, উভয়ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়া এসব দেশের প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়াকে সহযোগিতা করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নতুন করে ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা রয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ায় ৭০০টি শিপমেন্ট পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে।

এদিকে যে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা হলেন বিবেক কুমার মিশরা ও সুধীর কুমার। এ দুজনই অ্যাসেন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন।

রাশিয়ায় সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি। রাশিয়ায় ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য পাঠিয়েছে তারা। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের।

Share





Related News

Comments are Closed