ব্যাংকে বেনজীরের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। হাইকোর্টে আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এর আগে, ২৩ এপ্রিল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধনে দুদক যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মো. সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সেদিন বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রিটকারীর আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন। শুনানিতে তিনি বলেন, দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুদক স্বউদ্যোগে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে গত ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হয়। এতেও কাজ না হওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল দুদক একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি দুদক ১০ হাজার অভিযোগ অনুসন্ধান না করে অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দিয়েছে। যে কারণে দুদকের অনুসন্ধানে আমরা বিচারিক তদারকি (জুডিশিয়াল সুপারভিশন) চাচ্ছি।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এর দু’দিনের মাথায় গত ২ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে দ্বিতীয় দফার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৭(গ) ধারা অনুসারে কমিশন কোনো অভিযোগে স্বউদ্যোগে অনুসন্ধান শুরু করতে পারে। কিন্তু বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে পর পর দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পরও কমিশন অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে গত ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
এতেও কাজ না হওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন তিনি। নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে স্বউদ্যোগে অনুসন্ধানের অনুরোধ করা হয়। সাড়া না পেয়ে গত ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনার (তদন্ত), কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়।
Related News
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভা, অনুমোদন পেল চার প্রকল্প
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষ্মতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তীRead More
১০০ কোটি টাকা নিয়ে জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে এবং হতাহতদেরRead More
Comments are Closed