কমলগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির অবাধ বেচাকেনা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাদে মিলছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি। প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রাকযোগে এসে চিনির গোডাউনে মজুদ করা হলেও এবিষয়ে দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী মহল ও চোরাকারবারীদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ব্যবসা চলছে। এতে চোরাকারবারীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। আর ঠকছেন ভোক্তারা। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক বোঝাই চিনি আসছে। এতে কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভারতীয় চিনির রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন আট থেকে দশটি ট্রাকে আসে ভারতীয় চিনি। কমলগঞ্জের শমশেরনগরের রাধানগর, পতনঊষার বাজার ও মুন্সীবাজারের নির্ধারিত গোদাম সমুহে মজুদ রাখা হয়। পরে গোদাম থেকে বাজারের দোকানপাট সমুহে পাইকারী দামে বিক্রি করা হয়। অবৈধ ভারতীয় চিনি ব্যবসায়ের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী মহল ও চোরাই কারবারীরা জড়িত রয়েছে।
তবে অবৈধ চিনি ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বস্তা ভর্তি চিনি গোদামে মজুদ করলেও তারা চাল, ডাল বলে তাড়িয়ে দেন। কাউকে কথা বলতে দেয় না। তাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন। সীমান্ত অতিক্রম করেই তারা ভারতীয় বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় বস্তা দিয়ে চিনি পরিবহন করে। কখনো কোন অভিযান করা হলে পুরাতন অকশনের কাগজ দেখিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি চিনির দাম ৫০ রুপি। ৫০ কেজি বস্তার দাম ২ হাজার পাঁচশ’ রুপি। দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। তবে ভোক্তারা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে এই চিনি কিনছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চিনি কিনে বিক্রি করছি। শমশেরনগর ভেতর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে তুলনামূলক কম দামে ভারতীয় চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যদি একবার অকশনের মাল ক্রয় করেন পরে পুরো মাস অবৈধভাবে আসা চিনি সরবরাহ করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয়টি পুলিশ দেখলে ভালো হয়। সেখানে মামলার বিষয়ও সম্পৃক্ত।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে কমলগঞ্জ থানার অফিষার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খতিয়ে দেখা হবে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, অবৈধ ভারতীয় চিনির ব্যবসা অনেকটাই কমে গেছে। তারপরও গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
Related News

কুলাউড়ায় উপজাতীয়দের হাতে যুবক খুন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা পাহাড়ের নাসারী পুঞ্জির উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে আব্দুল করিম (৪০)Read More

কমলগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্বার
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক শিশুর গলা ও হাত কাটা লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।Read More
Comments are Closed