Main Menu

সৌদিতে মাধবপুরের রেহানার বাঁচার আকুতি

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না। আমি দিনে দিনে মরণের দিকে যাইতেছি। যেভাবেই পার আমারে দেশে নাও। দালাল আমারে দোজখের মধ্যে পাঠাইছে। আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।’

সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের রেহানা বেগম (২৫) ভিডিও কলে এভাবেই নিজের অসহায়তার কথা বলে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান।

দুই মাস আগে সংসারের সচ্ছলতা আনতে সৌদির দাম্মামে যান রেহানা বেগম। দাম্মাম শহরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন।

রেহানার স্বামী বাছির মিয়া জানান, তার স্ত্রী রেহানাকে পার্শ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের লিটন দাশ সৌদি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সেখানে গেলে ভালো বেতন ও ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারবে বলা জানায়।

বাছির বলেন, দালালের কথা বিশ্বাস করে এক লাখ টাকা দিয়ে রেহানাকে সৌদিআরবে পাঠানো হয়। সেখানে দাম্মাম শহরে একটি পরিবারে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পরিবারে এখন তার ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চলছে। পাঁচ দিন আগে ভিডিও কলে রেহানা জানায় রাতদিন তাকে কাজ করতে হয়। তাকে ভালো খাবার দেওয়া হয় না। প্রতিদিন তার ওপর নির্যাতন হচ্ছে। ঘরের ভেতর বন্দি অবস্থায় রয়েছে। আর কিছুদিন থাকলে সে মারা যাবে।

সৌদিতে রেহানার এই কষ্টের কথা লিটন দাশকে জানালে তিনি বলেন, ৩ লাখ টাকা দিলে রেহানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সৌদিতে রেহানা মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে মোবাইলে জানিয়েছে। রেহানার পরিবার খুবই দরিদ্র। সংসারের অভাব ঘোচাতে গিয়ে এখন আরও সমস্যার মধ্যে পড়েছে। রেহানাকে সরকারের সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করছি।

 

Share





Related News

Comments are Closed