Main Menu

সিলেট জেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান

গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা: সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নে মা শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান।

সোমবার গত বছরের ৯-১৪ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা সেবা সপ্তাহে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।

সোমবার সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে এ জন্য তাকে অভিনন্দনপত্র ও সনদ দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ সনদ প্রদান করা হয়।

তার হাতে সনদ তুলে দেন পরিবার পরিকল্পনা কাড়যালয়ের বিভাগীয় পরিচালক মাযহারুল হক চৌধুরী,,জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তপন কান্তি ঘোষ,( সহকাী পরিচালক) (সিসি) এবং রিজিওনাল কনসালটেন্ট (এফপি সিএসকিউ আইটি) ডাঃ আব্দুল হান্নান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উচিত কুমার সিনহা, মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এপি) ডাঃ ফাহিমা আক্তার।

এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছিল।

জানা যায়, উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন খলকুর রহমান। এরপর ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারী দায়িত্বগ্রহণ করেন তিনি। দায়িত্বগ্রহনের পর ইউনিয়নের নাগরিকদের সেবার পাশাপাশি শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মনোযোগ দেন খলকুর রহমান। অবহেলিত এলাকার অসহায় ও গরীব মানুষের কথা বিবেচনা করে তিনি প্রবাসীদের অর্থায়নে ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এম্বুলেন্স ক্রয় করেন। এম্বুলেন্সটি এলাকার মানুষের জন্য ২৪ঘন্টা সেবা দিতে সর্বক্ষণিক প্রস্তত রাখা হয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। এর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে চালক। শুধু দিনে নয় গভীর রাতে ফোন দিলে এলাকার যেকারোর দরজায় হাজির হয় এই এম্বুলেন্স। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য এক লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করা হয়েছে। মহিলাদে নরমান ডেলিভারি সেবা চালু করতে মাসি ২২ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ করা হয়েছে একজন মিডওয়াইফ। ৬হাজার টাকা বেতনে একজন নাইটগার্ড নিয়োগ দেয়া হয়। একজন অস্থায়ী আয়া নিয়োগ দেয়া হয়। কোন সময় যাতে হাসপাতালটি অন্ধকার না থাকে এর জন্য ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে আইপিএস ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ৩৫ জন গর্ভবর্তী মহিলাকে ৬মাসের জন্য দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ঔষধ। ৪৫ হাজার ৪৪০টাকা ব্যয়ে ডেলিভারির জন্য মেডিকেল বেড ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়। ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে। ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের রোম মেরামত ও ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য ৪টি ফ্যান ক্রয় করে দিয়েছেন তিনি। মোট ২২লক্ষ ৪৪হাজার টাকা ব্যয়ে এলাকাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন ওই চেয়ারম্যান। এর জন্য কুড়িয়েছেন অনেক প্রশংসা।

এদিকে স্বাস্থ্যখাতে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০২৩ সালের ১১ জুলাই শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচিত হয়েছে। সিলেট জেলার মধ্যে তিনি এ ইউনিয়নকে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান জানান আমার ইউনিয়নে কোন অসহায় গরীব মানুষ যেন চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এর জন্য আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরণের সহযোগীতা করে যাচ্ছি। ২৪ঘন্টা রোগী বহনের জন্য সাড়ে ১৫লাখ টাকা ব্যায়ে এম্বুলেন্স ক্রয় করেছি। যে কেউ অখন তখন ফোন দিলেই তার ঘরের দরজায় হাজির হয় এম্বুলেন্স। এর জন্য সর্বক্ষনিক সার্ভিস দেয়ার জন্য একজন নিয়মিত চালক রয়েছেন। পর্যাক্রমে আমরা অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে এই ইউনিয়নের কোন লোক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

Share





Related News

Comments are Closed