Main Menu

দশ মাসে দেশে ৪৯৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে দশ মাসে দেশে ৪৯৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১০৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ জন নারীকে। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন চারজন।

রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অগ্নি প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক হাসিবুল হাসান পল্লব।

সভায় জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে অগ্নি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা গেছে, গত বছরের শেষ ১০ মাসে দেশে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪২৩ জন নারী। এরমধ্যে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ১৭৩ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন ১২৫ জন নারী।

ওই সময়ে ২৫ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১০ জন। সালিশে ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে চারজন নারীকে। শিশু নির্যাতনের চিত্রও উদ্বেগজনক। ওই ১০ মাসে ৮৮৫ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৩৯৯ জন।

এই সভায় ১০ মাসের রাজশাহী জেলার চিত্রও তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, রাজশাহীতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৫ জন নারী। এ ছাড়া ১৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চারজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে দুই নারীকে। এ ছাড়া ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী।

এই ১০ মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৬ জন নারী। স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ছয়জন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়েছেন ৬০ জন। এ জেলায় এসিড নিক্ষেপের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ১১ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সালিশে ফতোয়ার নামে নির্যাতন করা হয়েছে দুই নারীকে। জেলায় ১০ মাসে ৪২ জন শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে আটজন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে অগ্নি প্রকল্পের আওতায় ১০ মাসে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় উন্নয়ন কর্মী রাশেদ রিপন, আসকের রাজশাহীর অগ্নি প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজমেন্ট কলসালটেন্ট সাব্বির হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share





Related News

Comments are Closed