Main Menu

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে তীব্র যানজটে ধুঁকতে থাকা ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজের দুয়ার খুলল। যার ফলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রতিটি গাড়িকে সময় ব্যয় করতে হবে মাত্র ১০-১৫ মিনিট।

মোনাজাত শেষে গাড়িবহর নিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তার গাড়িবহর ফার্মগেট অংশ থেকে নেমে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে যাবে। সরকারের এই সাফল্য উদযাপন করতে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশ আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর ফলে বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠানামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নির্দিষ্ট স্থান থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামা যাবে।

সেতু বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না পথচারীরা।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে হলে গাড়িভেদে নির্দিষ্ট অংকের টোল পরিশোধ করতে হবে। কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল দিতে হবে ৮০ টাকা।

এ ছাড়া মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ৬ চাকার বেশির ট্রাক ৪০০ টাকা এবং সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) জন্য ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক।

উড়ালসড়ক প্রকল্পটি দুই ভাগে বিভক্ত। মূল নির্মাণকাজ ও সহযোগী কাজ। মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করছে। বাকিটা খরচ করছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরামর্শকদের পেছনে ব্যয়ে আলাদা প্রকল্প রয়েছে। এই অর্থ ব্যয় করছে সরকার। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। দুটি প্রকল্প মিলিয়ে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।

তথ্যমতে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি নামের প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আপাতত বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের নির্মাণ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed