Main Menu

ওসমানী হাসপাতাল চত্বরে নয়ন হত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ শ্রমিক নয়নকে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) নয়নের বাবা আবদুল জলিল বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং-১৪) দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত নয়ন মিয়া (২০) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আবদুল জলিলের ছেলে।

এদিকে, নয়ন হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রামের কচাকাঁটা থানার নারায়ণপুর গ্রামের মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০), আয়নাল হক (২৫), মোঃ শাবান আলী (২৬), দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তেঘরা গ্রামের মোঃ রুবেল ইসলাম (৩২) ও বগুড়ার শিবগঞ্জের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৩৭)।

মামলা ও ৫ জন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ আলী মাহমুদ।নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত নয়ন মিয়া ও আইয়ুব আলী নামের দুই শ্রমিককে চুরির অভিযোগে একটি রুমে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। পরে আহত অবস্থায় সকাল সোয়া ৯ টার দিকে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরও এক শ্রমিককে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আইয়ুব আলী বলেন, ‘নয়ন মারা যাওয়ার আগে পানি চেয়েছিল, কিন্তু নির্যাতনকারীরা তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি।’

অপর দিকে, হাসপাতালের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করছে এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি করপোরেশনের ১২তলা ভবনের নির্মাণকাজ করছে। যেখানে গত ৩ জুন সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের উপর থেকে লোহার পাইপ নিচে পড়ে সিটি সুপার মার্কেটের ভেতরে থাকা এক সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক, সিসিকের দুই প্রকৌশলীকে আসামি করা হয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed