সিলেটে মা-ছেলে হত্যাকান্ডে গৃহকর্মী ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর মিরাবাজারের মা-ছেলে হত্যা মামলায় গৃহকর্মী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসাথে ভিকটিম রোকেয়ার শিশুকন্যা রাইসাকে হত্যা চেষ্টার দায়ে মৃত্যুদন্ড পাওয়া মামুনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ের আরও একবছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরে আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ রাতে নগরীর মীরাবাজার এলাকায় মা রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৬) কে হত্যা করে বাড়ির গৃহকর্মী তানিয়া ও তার কথিত প্রেমিক মামুন। কুপিয়ে জখম করে রোকেয়া বেগমের ছোট মেয়ে রাইসাকেও।
খুন করার আগের রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে, পরে ১ এপ্রিল সকালে সা-ছেলের মরদেহ ও শিশু রাইসাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মা রুকিয়া বেগমের শরীরে ৯৬টি ও ছেলে রবিউলের শরীরে ৪১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
নিহত রোকেয়া বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহত রোকেয়া বেগমের ভাই জাকির হোসেন অঞ্জাত চারজনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ওই বছরের ১০ এপ্রিল গৃহকর্মী তানিয়াকে কুমিল্লার তিতাস এলাকার একটি বাড়ি থেকে থেকে এবং তার প্রেমিক মামুনকে ৯ এপ্রিল সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আদালতের পিপি মোহাম্মদ জুবায়ের বখত বলেন, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। ২০১৯ সালের ১৯ মে তদন্ত শেষে আদালতে আসামিদের কিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআই’র পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারী অত্র আদালত চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। ধীর্ঘ শুনানীতে ২৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুজনের মৃত্যুদন্ড প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জোবায়ের বখত জুবের বলেন, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তানিয়া ও তার প্রেমিক মামুনকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। এছাড়াও মামুনকে দশ হাজার টাকা ও অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এর আগে আসামি তানিয়া ও তার প্রেমিক মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার প্রধান স্বাক্ষি ছিল ভিকটিম রোকেয়ার শিশুকন্যা রাইসা।
গৃহকর্ত্রী রোকেয়া বেগমের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই গৃহকর্মী তানিয়া তাকে হত্যা করে বলে জানান বাদিপক্ষের আইনজীবী মিসবাউর রহমান আলম।
আর এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী দিদার আহমেদ।
Related News
বিডিআর বিদ্রোহ, বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন ২ শতাধিকRead More
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের আরেক মামলাতেও খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীRead More
Comments are Closed