Main Menu

ভারতের আসাম থেকে সিলেট হয়ে জ্বালানি যাচ্ছে ত্রিপুরায়

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ত্রিপুরায় নিতে শুরু করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ১০টি পেট্টোলিয়ামবাহী যান তাদের কার্যক্রম শেষ করে একত্রে একটি কনভয় হিসেবে ত্রিপুরার পথে রওয়ানা হয়।

এই বছর ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তার অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন হয়।

এ বিষয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর অংশ হিসেবে আজ সকালে ১০টি পেট্টোলিয়ামবাহী যানবাহন একত্রে একটি কনভয় হিসেবে বাংলাদেশের সিলেটের তামাবিল-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর পথ দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাস্বরে রওয়ানা দেয়।

তামাবিল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, পেট্রোলিয়াম বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখণ্ড ও সড়ক ব্যবহারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বহন করেই তারা দেশের সড়ক ব্যবহার করেছে।

পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতীম উভয় দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে তেমনি আমাদের রাজস্বখাত সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সকালে তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় জ্বালানি পরিবহনকারী গাড়ি প্রবেশকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর উপ কমিশনার মো. আল আমিন, তামাবিল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা সালেহ আমদ, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এক এম নজরুল ইসলাম, তামাবিল বিজিবি’র কোম্পাণী কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. সুরুজ আলী ও তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) রুনু মিয়া।

ভারতীয়দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অয়েল করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর উপ কমিশনার মো. আল আমিন জানান, বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় এসব তেলবাহী ট্যাংকলরি তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সব ধরনের তল্লাশি শেষে এই গাড়িগুলো সিলেটের সড়কপথ দিয়ে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই শুল্ক স্টেশন দিয়ে জ্বালানিবাহী ট্যাংক লরিগুলো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাইলাশহর যাবে। ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি যানবাহনগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে একই পথে আবার ভারতে ফিরে যাবে।

এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার রাস্তা (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হওয়ায় আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল ভারত। সেবার বাংলাদেশ দুই মাসের জন্য জ্বালানি পরিবহনে ভারতকে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়েছিল।

 

Share





Related News

Comments are Closed