Main Menu

দুই মাস পেরুলেও ধোঁয়াশায় ইবি’র কম্পিউটার বিক্রির তদন্ত

শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: ৫০ টাকা দরে কম্পিউটার বিক্রির অভিযোগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের দুই মাস পেরিয়েছে।

দশ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও তা ধোঁয়াশায় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত টিপু ও তার সহযোগীরা তদন্তে নিষ্কৃতি পেতে জোর তদবির চালাচ্ছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।

জানা গেছে, গত ঈদের ছুটিতে এস্টেট অফিসের প্রধান টিপু সুলতানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুরাতন কম্পিউটারের মনিটর, সিপিইউ, এসি, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টারসহ নানা জিনিসপত্র অনুমোদনহীনভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গত ১১ মে ‘ইবিতে ৫০ টাকা দরে কম্পিউটার বিক্রি’ শিরনামে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। পরে ওই চার কর্মকর্তাকে ১৫ মে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারায় ঘটনা তদন্তে ৩১ মে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের দুই মাস পেরুলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় ভিতরে ভিতরে ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা। অভিযুক্তদের শাস্তি ছাড়াই শুধুমাত্র ওয়ারনিং দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও অভিযোগ তাদের।

ঘটনা থেকে রেহাই পেতে টিপু সুলতান তার প্রভাবশালী নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে জোর তদবির চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমটির সদস্য ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, “এ বিষয়ে আহবায়ক ভালো বলতে পারবেন। আহবায়ক এ সময় ভারতে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।”

কমিটির অপর সদস্য ড. আসাদুজ্জামান বলেন, “ঘটনার তদন্তে আমাদের মধ্যে দুইটি মিটিং হয়েছে। গত বুধবার (৩ আগস্ট) আমাদের মধ্যে দ্বিতীয় মিটিং হয়েছে এবং এরপর অভিযুক্তদের নিয়ে আহবায়ক স্যার বসেছিলেন।”

অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে তদবির চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমন কোন কথা আমার কানে আসেনি।

আর কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আহবায়ক স্যার দেশে ফিরলে আর একটা মিটিং করে সিদ্ধান্তে পৌছানো যাবে।”

Share





Related News

Comments are Closed