Main Menu

গোয়াইনঘাটে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যা, ১জনের মৃত্যুদন্ড

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: আপন চাচাতো দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মখলিছ মিয়া ওরফে মখনকে (৫৫) মৃত্যুদন্ডের আদেশ এবং তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) কে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মখলিছ গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম পানথুমাই গ্রামের মৃত আছকির আলীর পুত্র।

সিলেটের গোয়াইনঘাটের মালেকা বেগম (৫০) ও হাসিনা বেগম (৪৫) নামে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মখলিছ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা হয়।

দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় হয়। মামলায় ১৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নিজাম উদ্দিন জানান, এটি একটি আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। নদীর তীরে মুর্তার চারা লাগানোকে কেন্দ্র করে মখলিছ তার আপন চাচাতো দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে।

আদালতের নথিপত্র ও বাদীপক্ষ সূত্রে জানা গেছে , ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম পানথুমাই গ্রামের আজির উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০) ও একই বাড়ির জমসু মিয়ার স্ত্রী মালেকা বেগম (৩৮) তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী পিয়াইন নদীর ভরাট হওয়া তীরে মুর্তার বাগানে চারা রোপন করতে যান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মখলিছ হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন। এসময় তাকে সহযোগীতা করেন তার স্ত্রী রাহেলা বেগম। এ ঘটনায় নিহত হাসিনা বেগমের পুত্র আব্দুর ছবুর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ২০ জুলাই দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামি মখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর আদালত অভিযোগের সংশোধন করেন। এরপর মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণশেষে আদালত এ রায় দেন।

রায়ে মখলিছকে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। মামলার আলামত নষ্ট করায় ঘাতকের স্ত্রী রাহেলা বেগমকে নারী ও সন্তানদের বিষয় বিবেচনায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দন্ডের আদেশ দেন।

ঘাতক মখলিছ মিয়া ওরফে মখন (৫৫)।

আদালত সূত্র জানায়, মালেকা বেগম ও হাসিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত হাসিনা বেগমের ছেলে আব্দুস সবুর চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন এসআই মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। তদন্তে অপর দুইজনের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুল লতিফ।

 

Share





Related News

Comments are Closed