Main Menu

এমসিতে ধর্ষণ: ৫ দিনের রিমান্ডে রনি, রাজন, আইনুল

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় রনি, রাজন ও আইনুলের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।এ তিনজনের মধ্যে রনি মামলার ৩ নম্বর আসামি। আর রাজন ও আইনুল এজাহারে থাকা সন্দেহভাজন আসামি।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ধর্ষণ মামলার এজহারভুক্ত আসামী মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দিগ্ধ আসামী রাজন ও আইনুদ্দিনকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে বেলা বেলা পৌনে ১২ টায় তাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে আদালত চত্বরে হাজির করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ।

পরে তাদের আদালতে তুলে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে শুনানি শেষে আদালত সকলের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ড শুনানীকালে আসামীদের পক্ষে কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে গতকাল সোমবার একই মামলায় আরও তিন আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি খোকন কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

Share





Related News

Comments are Closed