Main Menu

ভারতে গণপিটুনিতে নিহত জুড়ীর যুবকের লাশ হস্তান্তর

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ভারতে গণপিটুনিতে নিহত মৌলভীবাজারের জুড়ীর যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। নিহতের ৫ দিন পর শুক্রবার (৫ জুন) বিকাল পৌনে ৬ টায় সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে নিহত রনজিত রিকমুনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।

নিহত রনজিত জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা–বাগানের তাঁতীপাড়া শ্রমিক ছিলেন। এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফ রনজিতের লাশ হস্তান্তর করতে চাইলে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি।

শুক্রবার বিকেলে শেওলা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রতিনিধি দলের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পাতারকান্দি থানা পুলিশ বিয়ানীবাজার থানায় লাশ হস্তাস্তর করে। এর পর নিহত রনজিত রিকমুনের পরিবারের কাছে লাশ তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিহতের চাচা চৈতা রিকমুন, চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি যাদব রুদ্র পাল।

এ সময় বিজিবি দলের প্রতিনিধি ছিলেন ৫২ ব্যাটালিয়ান বিয়ানীবাজারের সহকারী পরিচালক মুমিনুল ইসলাম ও বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো আলী আজগর এবং বিএসএফের পক্ষে সুতারকান্দি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিষ্ণু কুমার এবং পাতর কান্দি থানার ইন্সপেক্টর তনভীর আহমদ।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিয়ানীবাজারের কর্ণেল লেফটেন্যান্ট মো শহীদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় নিহত রনজিত রিকমুনের লাশ হস্তাস্তরের কথা ছিল কিন্তু নিহতের করোনা টেস্টের রিপোর্ট না পাওয়ায় আজ (শুক্রবার) লাশ হস্তাস্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পরিবার সাথে সাথে লাশ গ্রহণ করেছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ীর বাসিন্দা রনজিত রিকমুন (৩৬) ও মলেন মুন্ডা (৪০) গত ১ জুন জুড়ী সীমান্ত অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। ওইদিন গরু চোর সন্দেহে ভারতের আসাম রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দারা রনজিত রিকমুনকে পিঠিয়ে হত্যা করে এবং মলেন মুন্ডাকে আহত অবস্থায় সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Share





Related News

Comments are Closed