Main Menu

করোনায় ‘ক্লোরোকুইন’ প্রয়োগের অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোটা পৃথিবী। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স অন্যতম। বিভিন্ন দেশ করোনার প্রতিষেধক বানিয়ে ফেলেছে দাবি করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো অনুমোদন পায়নি।

এ অবস্থায় শুধু ফ্রান্সে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি দমনে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক রোগীর শরীরে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সারাবিশ্বের গবেষক ও চিকিৎসকরা যে সময় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তখন ‘ক্লোরোকুইন’ (Chloroquin) নামে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক রোগীর শরীরে প্রদান করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেই শহরের একদল গবেষক। গত একমাস ধরে ২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করেন তারা।

ওই গবেষক দলের প্রধান ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর দিদিয়ার রাউল্ত ২৪ রোগীর শরীরে ক্লোরোকুইন প্রয়োগে সফলতার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৭০ বছর যাবৎ এই ওষুধ ম্যালেরিয়া নির্মূলের কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এটা কোনো নতুন আবিষ্কার নয়।’

দিদিয়ার রাউল্ত বলেন, ‘ আমরা ২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করে আশ্চর্যজনক ফল পাই। এ ছাড়া আমিয়া শহরের ৪৮ বছর বয়সী এক রোগীকে ক্লোরোকুইনের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ঠিক ৪৮ ঘণ্টা পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়।’

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চ কমিশন হন্ট কনসিল দে সান্তা পাবলিকো (এইএসসিপি) বলেছে, করোনা রোগীর অবস্থা অশঙ্কাজনক হলে এই চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলিভিয়ার ভেরন এক সংবাদ সম্মেলনে রোগীর শরীরে ক্লোরোকুইন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়ার কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ কেবল গুরুতর রোগীদের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ক্লোরোকুইনকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে প্রয়োগের অনুমোদন গেজেট প্রকাশ করে। তবে কোনো ফার্মেসিতে এই ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

Share





Related News

Comments are Closed