Main Menu

রোটারি সুরমা জোনের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : বিশ্ব পোলিও দিবসকে সামনে রেখে রোটারি ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮২ সুরমা, জোনের উদ্যোগে ‘পোলিও মুক্ত বিশ্ব চাই’ এই স্লোগানে নগরীতে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে নগরীর ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন সারদা হলের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রোটারি ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮২ সুরমা জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্ণর ও প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান পিপি মাহবুবুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রোটারি-৩২৮২ গভর্ণর লেফটেনেন্ট কর্ণেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর।

এতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিডিজি ডা. মঞ্জুরুল হক, পিডিজি শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফার্স্ট লেডি রোটারিয়ান ফিরোজা রহমান, ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮২ এর সেক্রেটারি নিরেশ চন্দ্র দাস, লে. গভর্ণর ডা. মীর মাহবুবুল আলম, সুরমা জোনের প্রেসিডেন্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সামাদ নজরুল, রেজিষ্ট্রেশন চেয়ারম্যান পিপি তোফায়েল আহমেদ, রোটারি ক্লাব অব হোস্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশীদ, রোটারি ক্লাব অব টিসিটির চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট এফজাল আহমদ চৌধুরী, রোটারি ক্লাব রাইজিং স্টারের প্রেসিডেন্ট আবু সালেহ ইয়াহিয়া, রোটারি ক্লাব অব হোয়াইট স্টোন চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট কাজী জয়নুল হক ও সুরমা জোনের বিভিন্ন ক্লাবের প্রেসিডেন্টবৃন্দ, ডেপুটি গভর্ণর, এসিস্টেন্ট গভর্ণর, ডিস্ট্রিক্ট অফিসিয়াল ও রোটাররিয়ান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান পীর বলেন, বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে রোটারিয়ানরা ‘বর্তমানে রোটারি ও তার সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে এসে এ প্রচারণা আরো জোরদার হয়েছে। পোলিও একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং ৫ বছরের নিচের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। যদি একটি শিশু এ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়, তাহলে এটি তার মৃত্যুবরণের কারণও হতে পারে। এ রোগ খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে রোগীকে পুরোপুরিভাবে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে।’

তিনি জানান, ‘পোলিও নিরাময়ের লক্ষ্যে কাজ করা রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য হচ্ছে ডব্লিওএইচও, সিডিসি, ইউনেস্কো, বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন ও নির্দিষ্ট দেশের সরকারমহল। এ অভিযানের প্রধান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হচ্ছে ডব্লিওএইচও এবং সি রোটারি। যেটি ১২৫টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র ১৯৮৫ সালের দিকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া ছাড়া অন্যান্য দেশে এ রোগের প্রকোপ কমাতে সফল হয়। যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুর অঙ্গহানি ঘটেছে এ মহামারী রোগের প্রভাবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পিডিজি মঞ্জুরুল হক চৌধুরী বলেন, যতদিন পর্যন্ত আশেপাশের দেশগুলো পোলিওমুক্ত না হচ্ছে, ততদিন আমাদেরকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হবে না এবং আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

Share





Related News

Comments are Closed