Main Menu

ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পৃথক ধারায় আরও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মালবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন কর্মকার রবিদাস (৩২), একই এলাকার রতন রবিদাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র রবিদাস (৩০), একই এলাকার মৃত সচেন দাসের ছেলে সুভাস দাস (৪৬), একই উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চাকপাড়া গ্রামের খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৮), একই ইউনিয়নের সোনারপট্টি গ্রামের বিরেন দাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৬)।

বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের অনীল শিলের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ (২৩), হরিশপুরের আতাবুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও রাজশাহীর জিয়া কলোনির আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৭)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৫ সালের ১৩ জুন আসামিরা ফুসলিয়ে আয়েশা খাতুনকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরে মেলার মোড় এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। পরে ১৪ জুন সকালে পুলিশ ওই স্থান থেকে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় তৎকালীন নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক শামিম আকতার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করে।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে বিচারক এ রায় দেন।


Share





Related News

Comments are Closed