Main Menu

তেহরানে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা

Manual3 Ad Code

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। এই গভীর সংকটের মুখে আল্লাহর করুণা চেয়ে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জুমার দিনে তেহরানের উত্তরে একটি মসজিদে শত শত মানুষ বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজে অংশ নেন।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এ বছর ইরানের রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গত এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশের প্রায় অর্ধেক প্রদেশ কয়েক মাস ধরে এক ফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা পায়নি।

Manual7 Ad Code

পানি সংকটের তীব্রতা মোকাবিলায় সরকার তেহরানের প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য পর্যায়ক্রমে পানির সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Manual7 Ad Code

পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তা প্রধান বাঁধগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরানে পানীয় জল সরবরাহকারী পাঁচটি প্রধান বাঁধের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ খালি এবং অন্য একটি বাঁধে পানি ধারণক্ষমতার আট শতাংশেরও কম।

Manual3 Ad Code

গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়েছিলেন, শীতের আগে বৃষ্টি না হলে তেহরানকে হয়তো কিছু মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার মতো সংকটের সম্মুখীন হতে হবে। যদিও পরে সরকার ব্যাখ্যা করে, প্রেসিডেন্ট কেবল বাসিন্দাদের পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন এবং এটি কোনো বাস্তব পরিকল্পনা নয়।

এই কঠিন সময়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনায় শুক্রবার তেহরানের এমামজাদেহ সালেহ মসজিদে পুরুষ ও নারীরা সম্মিলিতভাবে বিশেষ নামাজ (ইস্তিস্কার নামাজ) পড়েন। ইসলামি প্রথা মেনে নারীরা পর্দার আড়ালে পুরুষদের থেকে আলাদা স্থানে নামাজে অংশ নেন।

সাধারণত, আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত তেহরানে শরৎকালের বৃষ্টি এবং শীতের তুষারপাতের ফলে গরম ও শুষ্ক গ্রীষ্মের পর স্বস্তি আসে। কিন্তু এ বছর পর্বত চূড়াগুলো শুষ্ক রয়েছে গেছে, যদিও বছরের এ সময়টাতে চূড়ায় সাধারণত বরফ জমে।

Manual4 Ad Code

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তেহরানের বাসিন্দারা দৈনিক প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। অন্যদিকে, গোটা দেশে এ বছর বৃষ্টিপাতের স্তর মাত্র ১৫২ মিলিমিটার (৬ ইঞ্চি)-এ পৌঁছেছে, যা গত ৫৭ বছরের গড়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম।

Share





Related News

Comments are Closed

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code