এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আট আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামীরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মো. আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিজবাউল ইসলাম রাজন, মো. রবিউল হাসান ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
এরআগে গত ৩০ নভেম্বর ধর্ষণের ঘটনার ডিএনএ প্রতিবেদন আদালতের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসে পৌঁছে। ডিএনএ প্রতিবেদনে ধর্ষণের সাথে সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্করের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এর আগে মামলাগুলো সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। তবে বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন হিসেবে আগামী ১৩ মে নির্ধারণ করেন।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আজ মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।‘
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মামলার ন্যায়বিচার ব্যাহত করতে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আপিল করা হয়, যা ছিল নজিরবিহীন।‘
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।এরপর তাদের মারধর করে টাকাপয়সাও ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। জনমতের চাপ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ধর্ষণবিরোধী আইনও সংশোধন করে সরকার।
পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তিন দিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত ছয়জনসহ সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডিএনএ পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের সঙ্গে ধর্ষণের আলামতের মিল পাওয়া যায়। এরপর ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Related News

হবিগঞ্জে মামলা থেকে ২২ বছর পর খালাস পেলেন শিবিরের সাবেক সভাপতি
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন কর্তৃক দায়েরকৃতRead More

১১৮ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনRead More
Comments are Closed