Main Menu

ওসমানী হাসপাতালে এই প্রথম হলো যে জটিল অপারেশন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো তিনজন শিশু হৃদরোগীর (২ বছর থেকে ৭ বছর) দেহে ডিভাইস বসানো হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এ ডিভাইস লাগানো হলো।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) মোট ৩ জন শিশুর শরীরে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

তিনজন রোগীর মধ্যে ২ বছরের, আড়াই বছরের এবং একজন ৭ বছরের শিশু রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এ.এস.ডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভি.এস.ডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পি.ডি.এ (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস)-র চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি লন্ডনের ‘মন্তাদা এইড’ এবং ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সার্বিক কারিগরি সহায়তায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। দু’দিনব্যাপী এ কার্যক্রম শনিবার শুরু হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোববার আরও ৫ জন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো হবে। এ কার্যক্রম হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগের আয়োজনে এবং শিশু মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, এ অপারেশনে হাসপাতালের ক্যাথল্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের এই চিকিৎসায় যে-কোনো ধরনের সহযোগিতায় আমরা বদ্ধপরিকর।

 

Share





Related News

Comments are Closed