রাসূল (সা:) এর পারিবারিক জীবন
মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান: প্রতিটি মানুষ আল্লাহর গোলাম।জীবনের সকল স্তরে আল্লাহর সমস্ত বিধি-বিধান পালন করার মধ্যেই রয়েছে মানব জাতির কল্যাণ এবং সফলতা। মানব জীবনে অনেকগুলো স্তর পার হতে হয়। যেমন শৈশব-কাল, কৈশোরকাল, যৌবনকাল এবং পারিবারিক জীবন। পারিবারিক জীবনে প্রবেশ করার মাধ্যমে মানুষের পূর্ণতা ঘটে। পারিবারিক জীবনের সূত্র ধরেই মানব জীবনের যাত্রা শুরু হয়। এ পরিবারের প্রথম বিন্যাস দিল স্বামী – স্ত্রী, সন্তান, মা, বাবা, ভাই-বোন নিয়ে পরিবার গঠিত। সকলের সাথে সুসম্পর্ক ও অধিকার নিশ্চিত করার ওপরই পারিবারিক জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে। পারিবারিক পবিত্রতা ও সুস্থতার ওপরই নির্ভর করে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বময় মানবজাতির কল্যাণ। আল্লাহর দেয়া বিধান মতে যারা এ অধ্যায় পরিচালনা করতে পারেন তাদের নেতৃত্বেই এ সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে যারা পদচারনা ও দর্শন আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে তিনি হচ্ছেন প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)। তার গোটা জীবন উম্মতের জন্য আদর্শ। তার জীবনে একাধারে সমুদয় মানবীয় জ্ঞানের বিকাশ হয়েছিল। বাল্যকাল থেকেই তিনি সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও আত্মত্যাগের পূর্ণ আদর্শ ছিলেন। পবিত্রতা, বিশ্বস্ততা, দয়া, ক্ষমা, ভালোবাসা, সরলতা, বিনয়, উদারতা, শিষ্টাচার, মহানুভবতার পূর্ণ প্রকাশ দিল তার গোটা জীবন।
রাসূল (সা:) মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খাদিজাতুল কোবরা ছিলেন রাসূল (সা:) এর প্রথম স্ত্রী। একাধারে রাসূল (সা:), রাসূল (সা:) এর সাথী এবং তার নিজের অর্থকে দ্বীন প্রচারের কাজে ব্যয় করে দেখিয়েছিলেন ত্যাগের উজ্জল মহিমা। নবুওয়াতের সূচনা থেকে খাদিজা ছিলেন রাসূলের পরিপোষক।
রাসূল (সা:) যে সকল নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদেরকে উম্মা হাতুল মু’মিনীন অর্থাৎ মুসলমানদের মাতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। কোরআনে এসেছে- “নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা” (সূরা : আহযাব-০৬)
বিবি খাদিজার মৃত্যুর পর রাসূল (সা:) ১০ জন (১২ মতান্তরে) নারীকে বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের মধ্যে আয়েশাই ছিলেন কুমারী। বাকী সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা। রাসূলের জীবনকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়- মাক্কী জীবন,মাদানী জীবন। মাক্কী জীবনে ২ জনকে বিয়ে করেন। আর বাকী সবগুলো বিয়ে ছিলো মাদানী জীবনে। রাসূল (সা:) এর বৈবাহিক জীবনে তালাক ছিলো না। রাসূলের স্ত্রীগনের নাম-
১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ২. সাওদা বিনতে জামআ, ৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর, ৪. হাফসা বিনতে উমর, ৫. জয়নব বিনতে খুযায়মা, ৬. উম্মে সালমা হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়া, ৭. রায়হানা বিনতে জায়েদ, ৮. জয়নব বিনতে জাহশ, ৯. জুওয়াইরিয়া বিনতে আল হারিস, ১০. রামহাল (উম্মে হাবীবা) বিনতে আবু সুফিয়ান, ১১. সাফিয়া বিনতে হুইয়াই, ১২. মাইমুনা বিনতে আল হারিস, ১৩. মারিয়া আল কিবতিয়া।
রাসূল (সা:) তার স্ত্রীদের কিরূপ ভালোবাসতেন তার প্রমাণ- তিনি সাহাবীদের লক্ষ্য করে একবার ইরশাদ করলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে স্বীয় পত্নীর কাছে উত্তম। আর আমি আমার পত্নীদের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম”
রাসূল (সা:) আরো বলেন, দুনিয়ার মধ্যে থেকে তিনটি জিনিস আমার কাছে প্রিয় করে দেয়া হয়েছে। তা হলো- নারী, সুগন্ধি এবং নামাজে চক্ষুর শীতলতা।
রাসূল (সা:) বলেছেন, দুনিয়ার সকল বস্তুই নেক উপভোগের সামগ্রী, তন্মধ্যে ধার্মিক ও সতী-সাধ্বী স্ত্রীই শ্রেষ্ঠতম সম্পদ।
হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা:) বলেছেন,চারটি সম্পদ যাকে দেয়া হয়েছে ইহজীবন ও পরজীবনের সমস্ত প্রকার মঙ্গলই সে লাভ করেছে।
১. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হৃদয়, ২. আল্লাহর নাম উচ্চারণে মুখের জিহবা, ৩. স্বাস্থ্যবান অটুট শরীর যাহা বিপদের মুখে ধৈর্যশীল ও স্থির থাকে, ৪. সতী-স্ত্রী যার দ্বারা স্বামীর কোন প্রকার আশঙ্কার কারণ না থাকে অথবা তাহার ধন সম্পত্তির কোন ক্ষতি না হয়।
আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা:) বলেছেন, বিশ্বাসী মুসলমান যেন বিশ্বাসী নারীর সম্বন্ধে মনে কোন প্রকার বিদ্বেষভাব পোষণ না করে।যদি সে স্ত্রীর এক দোষের জন্য অসন্তুষ্ট হয়,তবে অন্য গুণের জন্য সে যেন সন্তুষ্ট থাকে।
এছাড়াও মুহাম্মদ (সা:) স্ত্রীদের গৃহস্থালি কাজে সহযোগীতা করতেন।বাহির থেকে এসে যদি দেখতেন রান্না তখনও বাকী, তবে রান্নার কাজে সহযোগীতা করতেন।আয়েশা (রা:) কে জিজ্ঞাস করা হয়- রাসূল (সা:) বাসগৃহে কি কাজ করতেন? আয়েশা বলেন- তিনি সাধারণত ঘরোয়া কাজে ব্যস্ত থাকতেন।
আর নামাজের সময় হলে উঠে নামাযে চলে যেতেন।তিনি প্রতিদিন আসরের নামাজান্তে সব পত্নীর গৃহে গমন করতেন, তাদের কাছে বসতেন এবং তাদের হাল- অবস্থা জানতেন। আয়েশা (রা:) আরো বলেন,রাসূল (সা:) আমাদের সাথে এমনভাবে কথা বলতেন এবং হাসতেন তখন মনেই হতো না তিনি একজন পয়গম্বর, তবে যখন কোন ধর্মীয় বিষয় হতো, দায়িত্বের বিষয় হতো অথবা নামাজের সময় হতো তখন মনে হতো যেন তিনি আগের লোকটি নেই।
স্ত্রীদের মোহরানা আদায়ের ব্যাপারে রাসূল (সা:) পুরুষদের সতর্ক করে বলেছেন- তাদের মোহরানা তাদেরকে পরিশোধ করে দাও।
নবী (সা:) সাদাসিধা থাকা পছন্দ করতেন। লোভ – লালসা মুক্ত ছিলেন।তিনি একনাগাড়ে তিন দিন পেট ভরে খাবার খাননি।এ অবস্থা তার মৃত্যু কাল পর্যন্ত ছিল। যেদিন তিনি ইন্তেকাল করেন সেদিনও খেজুর আর পানি ছাড়া ঘরে কিছু ছিলোনা।
তিনি প্রতিবেশী এবং অন্যান্য ক্ষুধার্তের প্রতি খেয়াল রাখতেন।ঘরে একটি বকরি জবাই করলে ৪ ভাগের ৩ ভাগ প্রতিবেশীদের দিতেন আর ১ ভাগ নিজেদের জন্য রাখতেন।তরকারীতে ঝোল বেশি করে দিতে বলেছেন। যাতে করে প্রতিবেশীকে সেখান থেকে দেয়া যায়।
“প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে যে ব্যক্তি পেট পুরে খেলো,তার পেটে আগুন ছাড়া কিছুই ঢুকেনি বলেও হুশিয়ার করে দেন” বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা:)
রাসূল (সা:) নিজের হাতে উটকে তৃণজাতীয় উদ্ভিদ খাওয়াতেন। আটা পিষতে পিষতে ভৃত্যরা ক্লান্ত হয়ে গেলে তিনি নিজে বাকী কাজ করে ফেলতেন। বাজার থেকে নিজের ঘরের জিনিসপত্র কিনতে লজ্জিত হতেন না।আনাস (রা:) বলেন- “আমি কোন কাজ করলে বলেন নি এটা কেন করেছো? আবার কোন কাজ না করলে বলেননি এটা কেন করোনি? আর তিনি ছিলেন চরিত্রের দিক সবচেয়ে উত্তম।”
কখনো তিনি আমার সাথে উফফ শব্দটি বলেননি। এ ১০ বছরে আমি কখনো প্রথমে তাকে সালাম দিতে পারিনি। সব সময়ই তিনি প্রথম হতেন।
একদা সাহাবীদের নিয়ে রাসূল (সা:) মজলিশে বসে ছিলেন। হঠাৎ একজন মহিলা আসলেন, রাসূল (সা:) উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজের গায়ের চাদর খুলে মাটিতে পেতে দিয়ে মহিলাকে বসতে বললেন। মহিলা যাওয়ার পর সাহাবীরা বললেন, এই মহিলা কে? ওনার গুরুত্বের কারণ আমরা বুঝতে পারছিনা। রাসূল (সা:) জবাব দিলেন, বাবাকে জন্মের পূর্বেই হারিয়েছি, মায়ের ভালোবাসাও নসিবে জুটেনি। উনি সেই হালিমাতুস সাদিয়া যার বুকের দুধ খেয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। সুবহানআল্লাহ!
মায়ের প্রতি ভালোবাসার এ এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত ঘোষনা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন মায়ের মর্যাদা।
মা-বাবার প্রতি সদাচরণ করার জন্য বলেছেন বিশ্বনবী। অন্যত্র এসেছে “পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্টি।”
রাসূল (সা:) এর ৬ জন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ৪ জন মেয়ে, ২ জন ছেলে। ছেলে ২ জন ছোট বেলায় মারা যান। মেয়েদের কাছে রাসূল (সা:) ছিলেন আদর্শ বাবা। সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করার ব্যাপারে রাসূল (সা:) গভীর মনযোগী ছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন প্রত্যেক মুসলমানের উপর জ্ঞানার্জন ফরজ। আরো বলেন-“তোমরা তোমাদের সন্তানকে শিষ্টাচার শিক্ষা দাও। যখন সাত বছর হয় তাকে সালাতের আদেশ দাও, যখন তার বয়স ১০ বছর হবে তখন তাকে নামাজের জন্য প্রহার করো এবং বিছানা আলাদা করে দাও”। রাসূল (সা:) পরিবারে নামায প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী করে দেন।সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা অতীব জরুরী। আল্লাহ বলেন-
“পড় তোমার প্রভুর নামে।যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”
কোরআনে আরো এসেছে- “যারা জ্ঞানী ও যারা জ্ঞানী নয় তারা কি কখনো সমান হতে পারে”?
কন্যাসন্তানকে জাহেলি যুগে বোঝা ও সমস্যা মনে করা হতো। রাসূল (সা:) কন্যাসন্তানদের প্রতিপালন ও তাদেরকে সৎপাত্রস্থ করার লক্ষ্যে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, “যার নিকট তিনটি কন্যাসন্তান থাকবে তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করলে ও সৎপাত্রস্থ করলে আল্লাহ সেই মা – বাবাকে জান্নাত উপহার দিবেন”।
রাসূল (সা:) বড়দের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করতেন।সব শিশুদের সাথে রাসূল (সা:) এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো।সব শিশুরা রাসূলকে ভালোবাসতো। রাসূলকে খেলার সাথীও বানাতো।
রাসূল (সা:) বলেন-“যে বড়দের সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ করে না সে আমার উম্মত নয়”।
পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে রাসূল (সা:) হালাল রুজির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন- “হালাল রুজি সন্ধান করা ফরজের পর একটি ফরজ”।ইবাদাত কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো হালাল রুজি। যেসব সাহাবায়ে কেরামগণ নিজেদের রুজি নিয়ে সন্দিহান দিলেন রাসূল (সা:) তাদের কে নিজেদের জন্য দোয়া করতে পরামর্শ দেন।
রাসূল (সা:) পরিবারে পর্দার ব্যাপারে কড়াকড়িভাবে নজর রাখতেন। কোনভাবে একদিন রাসূল (সা:) এর কন্যা আসমা (রা:) এর মাথার ওড়না সরে যায়,তখন রাসূল (সা:) রেগে লাল হয়ে যান এবং তাকে সতর্ক করে দেন। পর্দা ইসলামী আদর্শের অন্যতম দিক।পৃথিবীর যাবতীয় নারীঘটিত অপরাধের অন্যতম কারণ হলো পর্দাহীনতা। পরিবারের সব সদস্যেোদর পর্দার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
কোরআনে এসেছে- “তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তাদের যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত। তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে। তাদের গ্রাবী ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত রাখে”।
পরিবারের সবাই সবার হক আদায়ে সতর্ক থাকবে। তবেই পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে।
রাসূল (সা:) ছিলেন পৃথিবীর সর্বোত্তম ব্যক্তি। তিনি নিজেই ঘোষনা করেছেন- “আমি প্রেরিত হয়েছি উত্তম চরিত্রের অধিকারী”। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে রাসূল (সা:) ছিলেন আমাদের জন্য একমাত্র নমুনা। তার অনুকরণেই রয়েছে আমাদের নাজাতের মাধ্যম।
রাসূল (সা:) বলেন, “যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তবে আমার অনুকরণ করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন”।
আল্লাহ মানুষ ও জীন জাতি তৈরী করেছেন শুধু তার দাসত্ব করার জন্য। সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর দাসত্ব করার মধ্যেই রয়েছে মানব জাতির সফলতা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার সব বিধান পুরোপুরি ও রাসূল (সা:)-এর অনুসরণ করার মাধ্যমে আমাদের নাজাতের পথে পরিচালিত হওযার তাওফিক দান করুন। (আমীন)
“যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে”। (সূরা: আহযাব- ২১)
লেখক-গবেষক ও কলামিস্ট।
Related News
ক্রান্তিকালে ফ্যাসিবাদের কথকতা
মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস এবং তার স্ত্রী ইমেলদা অনেকটা শেখ হাসিনারRead More
মাঙ্কিপক্স: আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকুন
মাসুদ পারভেজ: চলতি বছর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স শনাক্ত হয়। গত জানুয়ারি থেকেRead More
Comments are Closed