Main Menu

সিলেটে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং, ভোগান্তিতে পরিক্ষার্থীরা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: গরম আসার আগেই সিলেটজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে নগরে ও শহরতলী এলাকায়। পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। তবে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেট শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় গত এক সপ্তাহ থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারন মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত অন্তত আট বার লোডশেডিং হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত রাত আটটায় নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ ছিলো না।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সুত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সারাদিনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে চাহিদা ছিলো ১৮৭ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ১৩৯ মেগাওয়াট। আর লোডশেডিং হয়েছে ৪৮ মেগাওয়াট। সিলেট জেলায় চাহিদা ছিলো ১২২ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৯৪ মেগাওয়াট। আর লোডশেডিং হয়েছে ২৮ মেগাওয়াট।

নগরীর লালাজারের বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কিন্তু দিনরাত সমানভাবে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। সকাল থেকে কিছু সময় পর পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।

সিলেট নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাকিল আহমদ জানান, গরমে চরম ভোগান্তির মধ্যে বিদ্যুৎ নেই। এ কয়দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তো সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত আট বার বিদ্যুৎ চলে গেল। এখন বাসায় পানি সংকট তৈরী হয়েছে।

নগরীর মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন সবুজ বলেন, প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। আজ দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অন্তত ৬ বার লোডশেডিং হয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে কোন কাজই করতে পারছি না।

সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।

 

Share





Related News

Comments are Closed