Main Menu

তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১, আহত ২০

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ভারতের কয়লা গুহায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে দু’পক্ষের সংর্ঘষে জজ মিয়া (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরও ২০জন আহত হয়েছেন।

নিহত জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে চারাগাও বালুর চরে ঘটনাটি ঘটে।

এদিন রাত ১১টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জজ মিয়া মারা যান।

নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রবিবার সকালে অবৈধ ভাবে চোরাই পথে ভারতের কয়লা গুহায় যায় স্থানীয় চিহ্নিত চোরা-চালানীদের প্ররোচনায় লালঘাট গ্রামের আলকাছের ছেলে মুছা মিয়া (২২),বাচ্ছু মিয়া(৪৫)সহ ১০-১২ জনের একটি দল। সেখানে গিয়ে মুছা মিয়া (২২) ও বাচ্ছু মিয়ার(৪৫) মধ্যে কয়লা গুহায় ঝগড়া হয়।

পরে মুছা মিয়া বাংলাদেশে আসলে চারাগাও বালুর চরে কিতাব আলীর ছেলে জজ মিয়া (৪০) কেন আর কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে জানতে চাইলে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়াসহ বাবুল মিয়া(৩৫), খুরশেদ মিয়া (৩৪), সুরাত মিয়া(৫০)সহ ১০জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। খবর পেয়ে জজ মিয়া ও বাচ্ছু মিয়ার লোকজন এগিয়ে আসলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।

গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে রাবেয়া বেগম (২৫)কে। আর বাচ্চু মিয়া(৪৫), শরিফুল ইসলাম(৩৫) কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গুরুতর আহত জজ মিয়া রোববার রাতে ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতের আত্নীয় বাচ্ছু মিয়া।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Share





Related News

Comments are Closed