Main Menu

যে কারণে সাত বিয়ে করেন রবিজুল

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়ার যুবক রবিজুল ইসলাম (৩৯)। সাত বিয়ে করায় সম্প্রতি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে রবিজুল ইসলামের সাত বিয়ের কারণ এবার জানা গেল। মায়ের কথা রাখতেই তিনি সাত বিয়ে করেছেন। মা বেঁচে থাকতে করেছেন চারটি। মায়ের মৃত্যুর পর করেছেন আরও তিনটি।

রবিজুলের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি মিয়াপাড়ায়। তিনি ওই গ্রামের আয়নাল মন্ডলের ছেলে।

রবিজুল বলেন, তার মা বলেছিলেন- ‘আমার ছেলে বেঁচে থাকলে সাতটি বউ আসবে।’ মা বেঁচে থাকতে চারটি করেছিলাম। তার মৃত্যুর পর সেই কথা বাস্তবায়ন করতে বাকি তিনটি করেছি। প্রথম স্ত্রীর মৌখিক অনুমতি নিয়ে সমাজে অসহায় মেয়েদের বিয়ে করেছি।

সাত স্ত্রীকে নিয়ে রবিজুল গ্রামে একই বাড়িতে থাকেন। গ্রামে তার দোতলা বাড়ি। রয়েছে একাধিক কার গাড়িও। রবিজুল জানান, তার স্ত্রীরা খুব সুখে আছেন। প্রথম স্ত্রীর মৌখিক অনুমতি নিয়ে তিনি অন্যসব বিয়ে করেছেন। দুই দিন করে তিনি এক এক স্ত্রীর ঘরে থাকেন। সবাইকে সমান চোখে দেখেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে প্রথম হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুনকে (৩৫) বিয়ে করি। প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে রয়েছে। এর ১২ বছর পর লিবিয়ায় প্রবাস জীবনকালে কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুনকে (৩০) বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। এরপর দেশে ফিরে ২০২০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জেরে নুরুন নাহার (২৫), ২০২২ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুরের স্বপ্নাকে (৩০) বিয়ে করেন। আর গত তিন মাসে করেছেন আরও তিনটি। এরা হলেন- কুষ্টিয়া সদরের গোস্বামী দুর্গাপুরের মিতা আক্তার (২৫), একই এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, এসব মেয়ে ভালো থাকার আশায় তার কাছে আসছে।

Share





Related News

Comments are Closed