বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আজ ১০ ডিসেম্বর (রোববার) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’। মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আর বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতে ও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশে মানবাধিকার বলে কিছু ছিল না। সেই কালরাতে আমাদের পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেউ যাতে খুনিদের বিচার করতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের আগে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মামলা করতে পারিনি। সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সব নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে বিশ্ব দরবারে মানবাধিকার রক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে সারা দেশে দিবসটি উদযাপন করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে।
ঘোষণাপত্রের ৩০ অনুচ্ছেদে প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
Related News
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনকে মতামত ও সুপারিশ জানাতে আহ্বান
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনকে যেকোনো ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে মতামত ও সুপারিশRead More
নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬, আহত ৫৯৯
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে কমপক্ষে ১০৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এRead More
Comments are Closed