Main Menu

সিলেটে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ১৩ বছর বয়েসি এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। মহানগরের সুবিদবাজারে নুরানী আবাসিক এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে এই কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় কিশোরীর মরদেহের পাশ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

আত্মহননকারী কিশোরী জান্নাত আরা শিপা (১৩) পরিবারের সঙ্গে নুরানী আবাসিক এলাকার ৫১/১০ নং বাসায় থাকতো।

শিপার সুইসাইড নোটে যা লিখা আছে;

“আমি কারো কারণে মরছি না, আমি আমার নিজের কারণে মরছি। তোমরা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমরা ভালো থাকো। আমার জন্য কেউ খুশি করতে পারছো না, আমি মরে গেলে সবাই শান্তি থাকবে। আমি তোমাদের পথের কাঁটা হয়েছি, আমি মরে গেলে তোমাদের আর কেউ মারবে না, ছিল্লাবে না। আমি মানুষ ভালো নয়। তোমরা সবাই আমাকে অনেক মায়া করেছো। খুব বেশি আশা ছিল আম্মাকে দেখার, আর তো দেখা হবে না। আমি মরে গেলে তোমাদের কাউকে পড়ানো লাগবে না, আমার কারণে তোমাদের কেউ শান্তি পাচ্ছো না। আমি তোমাদের কাউকে হাসতে দিচ্ছি না, তোমাদের সবার হাসিখুশি আমি কেড়ে নিয়েছি। আমি মরে গেলে তোমরা মনখুলে হেসো, শান্তিতে থেকো। তোমরা তোমাদের মাকে নিয়ে শান্তিতে থেকো। আপাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি, তুমি আমাকে মাফ করে দিও।

আমি কোনো ছেলের কারণে এটা করছি না, সেই ছেলেও আমাকে অনেক বুঝিয়েছে, তোমরা তাকে কিছু বলো না। আমি তাকেও (সেই ছেলে) অনেক কাঁদিয়েছি। আব্বা তুমিও আমাকে মাফ করে দিও। আমি মরে গেলে তোমাদের কেউ অপমান করবে না। সবাই শান্তি পাবে। আমি মরে গেলে তাকে ফোন দিয়ে বলো, তাকে একটা কথা দিয়েছিলাম সেটা যেন রাখে।
ভালো থেকো।”

এরপর নিচের দিকে এক প্রান্তে ‘আমি মরে গেলেও তোমাদের মনে হবে’ আর আরেক প্রান্তে ইংরেজিতে ‘আই মিস ইউ’ লিখা আছে।

সুইসাইড নোটে যে ছেলের কথা উল্লেখ করে গেছে শিপা, সেই ছেলে কে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মায়নুল জাকির।

আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলামের বরাত দিয়ে ওসি জানান- মেয়েটির মা নেই। বাবা অসুস্থ। দিনের কোনো এক সময় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শিপা। প্রতিবেশিরা তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে সেটি নামিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।

তবে কী কারণে শিপা আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

 

Share





Related News

Comments are Closed