Main Menu

জাবিতে স্যামসন এইচ চৌধুরী মেমোরিয়াল স্কলারশিপ বিতরণ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ (৪৯-তম ব্যাচ) থেকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ফাউন্ডেশন গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যাপকভিত্তিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করে।

প্রয়াত শিল্পপতি স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্মারক হিসেবে প্রবর্তিত এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ফার্মেসি বিভাগ থেকে উল্লেখিত ব্যাচের ১৫ জন, প্রাণরসায়ন বিভাগের ৯ জন এবং রসায়ন বিভাগের ৯ জনসহ সর্বমোট ৩৩ জন গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি মাসে ২,৫০০/- হারে স্কলারশিপ দেয়া হচ্ছে, যা তাদের স্নাতক ডিগ্রি শেষ করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অধিকন্তু, এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী ব্যাচসমূহকেও অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার এমটিবি ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সভা কক্ষে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পথ চলাকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং এ বিষয়ে সবাইকে সম্যক অবহিত করতে একটি স্কলারশিপ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিচালক এবং এমটিবি ফাউন্ডেশনের স্যামসন এইচ চৌধুরী মেমোরিয়াল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সাব-কমিটির চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর নাতনি আনিকা চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সি.ই.ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব কবির এবং ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন।

ফার্মেসী বিভাগের ৪৬-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিস সাল সাবিলা জেরিন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন।

অনুষ্ঠানটির শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী সংক্ষেপে জাবি সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরণের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সহ সারা দেশে পরিচালিত এমটিবি ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রম তুলে ধরেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি, কেমিস্ট্রি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের একজন করে স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী- যথাক্রমে আয়েশা সিদ্দিকা খান (সায়েমা), মো. রফিকুল ইসলাম এবং মো. অলিউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালে তাদের এক চরম আর্থিক দৈন্যতার মুহুর্তে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম কিভাবে তাদের জন্য বিরাট এক আশীর্বাদ হয়ে আসে তা তাদের বক্তব্যে ফুটে উঠে।

অধ্যাপক মুহম্মদ মুহসিন বলেন, স্কলারশিপের আওতা আরও বাড়ানো, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সুদ মুক্ত শিক্ষা ঋণ এবং খন্ডকালীন চাকুরি প্রদান এবং পারষ্পরিক স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কোলাবোরেশনের ব্যাপারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

অধ্যাপক মাহবুব কবির তাঁর বলেন এই প্রস্তাবনা গুলো অনুসমর্থন করেন। এছাড়া, এধরণের আয়োজনে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর সংগ্রামী জীবন নির্ভর সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করা যেতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ স্কলারশিপের আওতা বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগেও একই ধরণের স্কলারশিপ প্রবর্তনে এমটিবির প্রতি আহ্বান জানান।

এমটিবির এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং পরিচালক আনিকা চৌধুরী বলেন ইতোপূর্বে বিভিন্ন বক্তা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যে সব প্রস্তাবনা রেখেছেন সেগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার এবং এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও কথা বলবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সব মিলিয়ে এটি ছিল একটি চমৎকার আয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমটিবি ফাউন্ডেশনের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সংযোগ স্থাপিত হল তা উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও নিত্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Share





Related News

Comments are Closed