বিশ হাজার টাকায় ইবিতে ভর্তির নিশ্চয়তা!

শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তির নিশ্চয়তা দিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। ৩১ ডিসেম্বর ইবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই এ চক্রটি অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তৎপর হয়েছে। অসাধু এ চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে তা থেকে বিভিন্ন গ্রুপ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত হেল্প গ্রুপ এবং ব্যাক্তির ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে এসব বার্তা পৌছে দিচ্ছেন।
শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলা হচ্ছে- প্রকাশিত রেজাল্টে মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ৮৫০ টাকা অগ্রিম পেমেন্ট করতে বলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে এমন প্রতারণার জাল বিছিয়েছেন প্রতারক চক্রটি। এতে বিশ^বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একইসাথে বিষয়টি আইনের আওতায় এনে চক্রটিকে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, ওয়েব সাইটে ফল প্রকাশের পর ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির তথ্য সংক্রান্ত ফেইসবুক গ্রুপ ”Islamic Universitz (IU) Admission Test” এ ‘যাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়নি আমরা চান্স করে দেব’ এমন একটি কমেন্ট করা হয় ‘Md Sujan. নামের একটি আইডি থেকে। সেখানে ‘IU চান্স ১০০% করে দেব’ নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের একটি লিংক যুক্ত করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন থাকা নম্বরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সেই গ্রুপে রাহিন নামে একটি আইডি থেকে ‘যারা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি। তাদের আমরা চান্স করে দেব। আমরা প্রথমে গুচ্ছের রেজাল্ট চেঞ্জ করে নাম্বার বাড়াব। পরে সেই নাম্বার সাবমিট করব। তাহলে তোমার সিরিয়াল ১০০ এর কম আসবে। মোট খরচ হবে ২০০০০ টাকা। অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা। যারা চান্স পেতে চাও তারা কল করুন।’ এমন একটি মেসেজ শেয়ার করা হয়। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী গ্রুপে যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ‘IUIAN-ইবিয়ান’ নামে একটি ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কর হয়। এতে প্রার্থীর সিভিসহ সকল ডাটা চাওয়া হয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে গ্রুপ থেকে পোস্ট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানায় প্রশাসন। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এর ফলে বিশ^বিদ্যালয়ের নাম ব্যাবহার করে এসব কর্মকান্ড করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা সমালোচনা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায়ও বরাবরের মতোই প্রশাসন আইটি সেলকে দায়িত্ব দিয়ে পার পেতে চাচ্ছেন। ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আইটি সেলকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে এসব বিতর্কিত বিভিন্ন কর্মকান্ড করা হচ্ছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভর্তির ক্ষেত্রে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমাদের জন্যও বিব্রতকর। আইসিটি সেলকে খুঁজে বের করতে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা প্রতিবেদন দিলে আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’
Related News

অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই জাতিগত ঐক্যের প্রধান শক্তি
শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: অন্তভুক্তিমূলক জাতিতাত্ত্বিক বহুত্ববাদ কার্যকর রাষ্ট্রবিনির্মাণের প্রধান শক্তি। কেননা, জনজাতির সাংস্কৃতিকRead More

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের পর প্রেমিকাকে ভারতে পাচার
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সোহেলের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নুর নাহারRead More
Comments are Closed