রায়হান হত্যা, নোমানকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়ির হেফাজতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এমএ ফজল চৌধুরী।
এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন রায়হানের মা সালমা বেগমসহ অন্যান্য স্বজনরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এমতাবস্থায়, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এমএ ফজল আরও বলেন, ‘আজ ধার্য্য তারিখ ছিল পরবর্তী আদেশের জন্য। আদালত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কমপক্ষে দুটি পত্রিকায় নোমানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হবে। এর মাধ্যমে তাকে অবহিত করা হবে যে, তিনি আদালতে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য শুরু হবে।’
পত্রিকায় শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে বলেও জানিয়েছেন এই আইনজীবী।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জারি করা ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।
হত্যাকাণ্ডের পর চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল মো. হারুণ অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হাসান উদ্দিন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান। তাদের মধ্যে নোমান পলাতক। বাকিরা কারাগারে আছেন। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।
Related News

সুনামগঞ্জে কৃষক হত্যায় ১ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কৃষক দুলা মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার রায়ে ১ জনের আমৃত্যুRead More

এমসি কলেজে গণধর্ষণ, আদালত পরিবর্তন চেয়ে রিট
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতRead More
Comments are Closed