Main Menu

জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু মারা গেছেন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সা‌বেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সা‌বেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

শনিবার (২ অক্টেবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলা‌দেশ স্পেশালাইজড হাসপাতা‌লের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেছেন। তার মরদেহ এখনও হাসপাতালেই রাখা আছে।

তিনি বলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে। এরপর বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

জাপা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়েছিল।

সাবেক সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা বাবুল দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শুরু থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ডাকসুর জিএস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগনিকে বিয়ে করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তার বর্তমান স্ত্রীর নাম মেহেজেবুন্নেছা টুম্পা। বাবলুর প্রথম স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। আশিক আহমেদ তাদের ছেলে। আশিক বিবাহিত এবং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পক্ষান্তরে টুম্পারও প্রথম সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

 

Share





Related News

Comments are Closed