Main Menu

যশোরে ১৯ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে যশোরের তিন উপজেলার ১৯ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, হালনাগাদ লাইসেন্স সংগ্রহে ৫৪ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ।

সিভিল সার্জন অফিস জানাচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স নেওয়া এবং পুরাতন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স নবায়নের জন্য তাগিদ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৪ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের আবেদন অধিদফতরে জমা দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে ডা. রেহেনেওয়াজ বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে পরিচালিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সিভিল সার্জন। তার নির্দেশে লাইসেন্স করার জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ৫৪ প্রতিষ্ঠান মালিককে আল্টিমেটাম দিয়ে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলায় ২১, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২১ এবং চৌগাছা উপজেলায় ১২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সম্প্রতি যশোরের একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। পরিদর্শনকালে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নানান অনিয়ম দেখতে পান। ওই সব প্রতিষ্ঠানে রোগীর অস্ত্রোপচারের সময় অজ্ঞান করার চিকিৎসক থাকেন না। নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং প্যাথলজিস্ট নেই। এছাড়াও নিম্নমানের অস্ত্রোপচার কক্ষ, প্যাথলজি বিভাগ নোংরা পরিবেশ, মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়, অনুমোদনের চেয়ে অতিরিক্ত শয্যা ব্যবহার ও অপচিকিৎসার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়।

সিলগালা করে দেওয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: যশোরের শার্শা উপজেলার রজনী ক্লিনিক, পল্লী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জোহরা ক্লিনিক, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা-মনি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উপলক্ষ ক্লিনিক। ঝিকরগাছার বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সায়রা সার্জিক্যাল, আনিকা ক্লিনিক, ফেমাস মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, এস এস ক্লিনিক, আয়শা ক্লিনিক, শাপলা ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক, সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চৌগাছা উপজেলার মায়ের দোয়া প্রাইভেট ক্লিনিক, মধুমতী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

তবে, সিলগালা করে দেওয়া অনেক প্রতিষ্ঠান গোপনে চালু রেখে নিয়মিত রোগী ভর্তি করছে ও দেখছে।

এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ইতোমধ্যে নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম চোখে পড়লেই বন্ধ করা হবে। সরকারি নির্দেশনার বাইরে প্রতিষ্ঠান চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।

Share





Related News

Comments are Closed