Main Menu

অস্ট্রেলিয়ার ভিসা ও অভিবাসনে পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসন খাতের পুনরুদ্ধারে বেশকিছু নীতিমালা এনেছে অস্ট্রেলিয়া। ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া অভিবাসন আইনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও ছুটির দিনে কাজের ভিসার মেয়াদ ও কর্মঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির নাগরিকত্ব আবেদনেও ফি বেড়েছে, ২৮৫ অস্ট্রেলীয় ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪৯০ ডলার করা হয়েছে।

তবে অভিবাসন দক্ষতার ওপর ২২টি পেশাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসিয়ানের ১০টি দেশকে নিয়ে কৃষি ভিসা চালু করেছে দেশটি।

প্রাধান্য দেওয়া পেশাগুলোর মধ্যে নির্মাণ প্রকৌশলী, তড়িৎ প্রকৌশলী, যন্ত্র প্রকৌশলী, মেডিকেল ল্যাবরেটরি সায়েন্টিস্ট, পশু চিকিৎসক, জেনারেল প্র্যাকটিশনার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ধাত্রী রয়েছে।

নতুন নীতিমালায় অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশি ঘণ্টা কাজের সুযোগের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগে একজন বিদেশি শিক্ষার্থীর ১৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা বৈধ কাজের অনুমতি ছিল। তবে করোনা সংকটের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনে এ সীমিত কর্মঘণ্টার শর্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জরুরি খাতে বা পর্যটন খাতে কর্মরত হতে হবে।

একই ধরনের পেশায় থাকলে বেশি সময় কাজের সুযোগ পাবেন ওয়ার্কিং হলিডে ভিসাধারীরা। সাধারণ নিয়মে এ ভিসাধারীদের জন্য এক কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি কাজ করার নিয়ম ছিল না। নতুন নীতিমালায় এ নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পরিচর্যা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং শিশুযত্ন পেশায় কাজ করলে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে যোগ্য বিবেচিত হবেন। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ওয়ার্কিং হলিডে ভিসাধারী রয়েছেন।

নতুন নীতিমালায় সুযোগ বাড়বে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা, তথা অতিদক্ষ পেশাদারদের জন্য। দেশটিতে অভিবাসন গ্রহণের জন্য নতুন দক্ষ পেশাদার প্রায় অর্ধেকই দেওয়া হবে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদনকারীদের। ২০২১-২২ বছরে প্রায় ১৫ হাজার ভিসা দেওয়া হবে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইনডিপেনডেন্ট (জিটিআই) ভিসায়। ভিসায় আবেদনের সংখ্যা একইভাবে বাড়ছে উদ্ভাবনী ব্যবসায়ীদের জন্য। সাবক্লাস ১৮৮ বিজনেস ভিসায় এ বছর দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫০০টি ভিসা মঞ্জুর করা হবে। দক্ষ পেশাদারদের কর্মসংস্থান তৈরিতে বিনিয়োগ আর স্পনসর ভিসার সুযোগ বৃদ্ধিতে ভিসার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে আবেদনের সময় প্রমাণাদি ও কাগজপত্র সঠিক এবং পরিপূর্ণভাবে জমা দেওয়ার পরামর্শ থাকছে। কারণ, কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না চেয়েই ভিসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।

সূত্র: এসবিএস, স্ট্যাডি ইন্টরন্যাশনাল।

 

Share





Related News

Comments are Closed