Main Menu

ওসমানীনগরে কার দূর্ঘটনায় আহত সৌরভ মারা গেছে

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগরে বাস-কার সংঘর্ষে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামের নিহত স্বপন কুমার দাসের পরিবারের কেউই আর বেঁচে রইলো না। পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা কিশোর সৌরভও অবশেষে মারা গেছে।

শনিবার (১ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

এরআগে গত শুক্রবার ইদের আগেরদিন ব্র্যাক কর্মকর্তা বাবা স্বপন কুমার দাসের কর্মস্থল মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থেকে ইদের ছুটিতে সৌরভ তার জমজ দুই ভাই ও পিতামাতার সঙ্গে গ্রামের বাড়ী দিরাই আসছিল।

পথিমধ্যে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার বড়াইয়া চাঁনপুর নামক স্থানে কুমিল্লা টান্সপোর্টের একটি বাসের সাথে তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ব্র্যাক কর্মকর্তা বাবা স্বপন কুমার দাস, মা লাভলী রানী দাশ ও সৌরভের দুই জমজ ভাই শৈবাল দাস এবং সৌমিত্র দাস (৮)। দুর্ঘটনায় সৌরভ তৎক্ষনাৎ প্রাণে বেঁচে গেলেও ৩দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল সৌরভ।

সৌরভের একমাত্র জেঠা বাকরুদ্ধ সমর দাস জানান- আমার একমাত্র ছোট ভাই স্বপন প্রত্যেক ইদে ও দুর্গাপুজার ছুটিতে বাড়িতে আসতো। এবারও তার গত বৃহস্পতিবারে আসার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে জানতে পারি তারা শুক্রবার ভোরে রওয়ানা হবে। কিন্তু বিধি তাদের আর বাড়িতে ফিরতে দিলেন না।

শোকে পাথর সমর দাস আরও জানান- ছোটভাই ও তার স্ত্রী লাভলী রানী দাস জমজ দুই সন্তানসহ ঘটনাস্থলে মারা গেলেও পরিবারের স্বপ্ন সৌরভ (১৪) প্রাণে বেঁচে যাওয়া ঈশ্বরের আর্শীবাদ মনে করেছিলাম। এখন সেই স্বপ্ন বেঁচে রইলো না। গত রাত ১০টায় ভাতিজা সৌরভ মারা গেল।

তিনি জানান- সৌরভ দাস খুব শান্তশিষ্ট, মেধাবী ছাত্র ছিল। দাহ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- লাশ এখনো আসেনি, আসলে পরিবারের চিতায়ই তাকে দাহ করা হবে। এদিকে সৌরভের মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই স্বপন কুমার দাস মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থেকে ঈদের ছুটিতে স্ত্রী লাভলী রানী দাস ও তিন ছেলেকে নিয়ে প্রাইভেট কারে বাড়িতে ফিরছিলেন। নিহত স্বপন কুমার দাস শ্যামারচর গ্রামের হরিধন দাসের ছেলে।

Share





Related News

Comments are Closed