Main Menu

সিলেট মহানগর জামায়াতের মিছিল সমাবেশ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, কোন অপরাধ নয়, রাজনৈতিক প্রতিংসা চরিতার্থ করতে এবং জামায়াতকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, বানোয়াট। সরকার তাদের দলীয় লোকদের দ্বারা সাক্ষ্য দিয়ে ফাঁসির দন্ড হাসিলের মাধ্যমে একে একে শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার জননেতা আজহার। বিচার প্রক্রিয়ায় সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়েছে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। অপর একজন সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। তাদের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। ৭ বা ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখার দাবী সম্পূর্ণ হাস্যকর। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিচারের নামে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সের যুবক এটিএম আজহারের মতো নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। অবিলম্বে এই অন্যায় রায় বাতিল করে আমীরে জামায়াত সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন।

বৃহস্পতিবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে দেয়া অন্যায় মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় আপীলে বহাল রাখার প্রতিবাদে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা আলা উদ্দিন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, শফিকুল আলম মফিক, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির সিলেট মহানগর সভাপতি ফরিদ আহমদ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,‘সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আজহারুল ইসলামকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলার বিবরনীতে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন সাক্ষী নিজেকে আজহার সাহেবের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে আজহার সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন, আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব আজহারুল ইসলামকে ঐ সাক্ষী তার ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গোটা মামলাটি মিথ্যায় ভরপুর। দেশের জনগণ আশা করেছিল সর্বোচ্চ আদালতে আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন। কিন্তু সরকারের সাজানো মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করায় দেশের জনগণের সাথে আমরাও হতবাক ও বিস্মিত। জনগণ এ রায় প্রত্যাখ্যান করছে। সরকার দেশকে রাজনীতি ও নেতৃত্বশূন্য করার যে চক্রান্ত শুরু করেছে, আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা সাজানো মামলাটি সে ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। এই রায় বাতিল করে জননেতা আজহার সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান তারা।

Share





Related News

Comments are Closed