Main Menu

সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ আর নেই

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারার সাবেক এমপি, প্রবীণ আইনজীবী আব্দুল মজিদ মাস্টার আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯ টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না….রাজিউন)।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিদ মাস্টার গত ১০ দিন ধরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আইএলডি রোগে ভুগছিলেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদের মরদেহ সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের বাসায় নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জানাযার নামাজ শেষে আজই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ মাস্টার জেলা তথা ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার এক বর্ষীয়ান ও কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ ছিলেন।

তিনি ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন।

দেশ স্বাধীনের পর তিনি ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসন থেকে জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে তিনি ওই আসনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৮০ সালে শিক্ষকতার পেশায় মনোনিবেশ করে টানা দশ বছর দোয়ারাবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি অনুন্নত ও শিক্ষা বঞ্চিত এলাকায় তিনি ছিলেন ওই এলাকার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া এক প্রাণ পুরুষ।

পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার সময়ে দোয়ারবাজার উপজেলার পুরো রুপরেখা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে উপজেলায় প্রথম বিদ্যুতায়ন সহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের রুপ রেখা বাস্তবায়িত হয়। তার আমলে দোয়ারাবাজার কলেজ বর্তমানে দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজ, দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা সদরে প্রথম বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ তার হাত ধরেই ওইসব প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প আলোর মুখ দেখে।

সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে তিনি জেলাবাসীর নিকট ছিলেন একজন স্বজ্জন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

১৯৮৯ সালে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি আইন পেশায় জড়িত হন। তার পেশায় তিনি ছিলেন সফল ব্যক্তি। মূলত আইন পেশা থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার সর্বস্থরের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এক কর্মদক্ষ ব্যক্তি হিসেবে সুনামগঞ্জে সকল মহলে সমানভাবে ছিলেন সমাদৃত।

২০০৯ সাল থেকে ৫ বছর তিনি সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের সরকারি কৌশলী (পিপি)’র দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক পরিসরে তার ছিল ব্যাপক বিচরণ। জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় মূল্যবোধের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের জাতীয়পার্টির রাজনীতির সাথে তিনি শুরু থেকেই জড়িত ছিলেন।

দীর্ঘদিন তিনি জেলা জাতীয়পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং জেলা জুড়ে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করেন।

২০০৯ সালে সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য বেগম মমতাজ ইকবালের মৃত্যুর পর তিনি জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন।

এছাড়া তিনি জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে প্রথম বারেরমত জেলা পরিষদ সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দোয়ারাবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Share





Related News

Comments are Closed