Main Menu

কারাগারে খালেদা জিয়ার এক বছর

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর পূর্ণ হলো আজ ৮ ফেব্রুয়ারি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে কারাগারে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেই থেকে তিনি বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। ‍পুরানো ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের একমাত্র কয়েদী খালেদা জিয়া।

তার বিরুদ্ধে করা ৩৬টি মামলার মধ্যে চারটির জামিন এখনও বাকি। ৭৩ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কারাগারে খালেদা জিয়া সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়েন, ইবাদত-বন্দেগি ও বই পড়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান।

গত বছর ৩০ অক্টোবর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার নিম্ন আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। সম্প্রতি এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সব মিলিয়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় বিএনপি প্রধানের। এ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন আইনজীবীরা। আপিলটি এখনও হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়নি।

যে মামলায় খালেদা জিয়া এক বছর আগে কারাগারে গেছেন, সেই মামলায় গ্রেফতারের দেড় মাসের মাথায় জামিন পেলেও তাঁর মুক্তি মেলেনি। এই মুক্তির পথে বাদ সেধেছে আরো ৩৬ মামলা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জেলে আটক করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৭টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে তিনটি বাদে সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও কুমিল্লার একটি হত্যা মামলায় তার জামিন নেয়া বাকি আছে। এ ছাড়া অন্য মামলায় তিনি জামিনে আছেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা আইনগতভাবে লড়ে যাচ্ছি। তাকে মুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে যা যা করার আমরা করব। ইনশাআল্লাহ আমরা তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনব।

Share





Related News

Comments are Closed