Main Menu

এশিয়ায় বেকারত্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয়

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেশি। এই হার আশঙ্কাজনকভাবে আরও বাড়ছে। বেকারত্বে বাংলাদেশ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার প্রায় ১১ ভাগ।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

উচ্চশিক্ষিতদের বেকারত্বের হারে শীর্ষ অবস্থানে আছে পাকিস্তান, এ হার ১৭ ভাগের কাছাকাছি। প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্ব নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ, ৮ দশমিক ৪ নিয়ে এই তালিকায় তৃতীয় ভারত। আর পরের অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১০ সালে ছিলো ৬ দশমিক ৪ ভাগ। ২০১৭ সালের হিসাবে তা ১২ দশমিক ৮ শতাংশ।

৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় ২ হাজার ২৪টি শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার জন চাকরিপ্রার্থী। অর্থাৎ একটি পদের বিপরীতে ১৯২ জনের বেশি প্রার্থী। গত বছর সরকারি আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৬৩ পদের বিপরীতে অংশ নেন ২ লাখ ১৩ হাজার প্রার্থী। প্রতিটি পদের বিপরীতে ছিলেন ১২৮ জন। এই পরিস্থিতি থেকেই বোঝা যায় দেশে উচ্চ শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের দুরাবস্থা।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলওর হিসাবে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশে বর্তমানে আট কোটি মানুষ বেকার। গড় বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ১ ভাগ। বাংলাদেশে এই হার চার দশমিক ২ ভাগ। তবে সংস্থাটি বলছে, এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা আর দক্ষতা প্রশিক্ষণের আধুনিকায়ন না হওয়ায় দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার বাড়ছে। সমস্যা সমাধানে উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম জোরদারের তাগিদ বিশ্লেষকদের। প্রতিবছর তরুণদের একটি বড় অংশ শিক্ষাগ্রহন শেষে শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণ আর দক্ষতার অভাবে পাচ্ছে না কাঙ্খিত কর্মসংস্থান। ফলে বাড়ছে বেকারত্ব।

উচ্চশিক্ষিত তরুণের কর্মসংস্থান বাড়াতে কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণে সংস্কার আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Share





Comments are Closed