নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই : গয়েশ্বর রায়
বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সাম্প্রতিককালে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে যে প্রক্রিয়ায়, যে আচরণের মাধ্যমে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে তা কিছুতেই কাম্য নয়। তিনি আদৌ পদত্যাগ করেছেন কিনা তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা তা সুস্পষ্ট না। এ কারণে সুস্পষ্ট না প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার পরে, পদ পূরণ করার একটা নির্ধারিত সময় থাকে কিন্তু এটা অনির্ধারিত সময়, প্রধান বিচারপতি কেউ হয় নাই।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের কাজীর পয়েন্ট এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, আমরা আন্দোলন করছি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সকারের অধীনে একটা অর্থবহ নির্বাচনের জন্য। বর্তমান সরকারের নির্বাচনের যে বৈশিষ্ট্য তাতে জনগণের আস্থা নেই, জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সুতরাং জনগণ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে। আমরা কিন্তু বলিনি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চাই না, খালেদা জিয়ার অধীনে নির্বাচন চাই, আমরা বলেছি একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। তাতে কোনো আতঙ্ক থাকবে না, আশঙ্কা থাকবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুল হক আছপিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাধরাণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় যোগ দেন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল ও যুগ্ম সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন সুজনের পরিচালনায় কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুল হক আছপিয়া, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি, আব্দুল মোতালেব খান, সেলিম উদ্দিন, রেজাউল হক, অ্যাড. শেরেনূর আলী, নাদীর আহমেদ, আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত, আনিসুল হক, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আ ত ম মিসবাহ, জেলা বিএনপি’র সদস্য আ স ম খালেদ, ছাতক পৌর বিএনপি নেতা সৈয়দ তিতুমীর, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবু হুরায়রা ছাদ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, শাল্লা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, দিরাই উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক নূর হোসেন, এটিএম হেলাল, মামুনুর রশিদ শান্ত, মহিলা দলের আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জেলা জাসাস সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুজ্জামান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি নজির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্মীসভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কাউকে যেন বিএনপি করার অধিকার থেকে বঞ্চিত না করি। বিএনপি করা মানেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলা। সুতরাং যদি দেশ না টিকে তাহলে আমরা দল করে কি করবো। জিয়াউর রহমানের কথা মনে রাখতে হবে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তা মেনে নিবেনা। আন্দোলনের মাধ্যমে এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
Related News
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির দশদিনের কর্মসূচি ঘোষণা
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সারা দেশে টানা ১০ দিনের কর্মসূচিRead More
তারেক রহমানসহ ৪জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহRead More
Comments are Closed