Main Menu

হাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, বিপাকে ৪ হাজার শিক্ষার্থী

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক:  চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

হঠাৎ হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ৭টি হলের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়েছে বিপাকে।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে,চলমান চূড়ান্ত সেমিস্টার পরীক্ষা, সামনে বিসিএস পরীক্ষা, টিউশনি,ল্যাব-ফিল্ড ও একাডেমিক টিচার্স বন্ধ করে বাসায় যেতে হচ্ছে।হলে থাকলে পারলে ক্লাস না হলেও আমরা এসব কাজগুলো করতে পারতাম।কিন্তু প্রশাসন আমাদের কথা ভাবলো না।

তারা আরো বলেন,শিক্ষকদের চরিতার্থের জন্য একমাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ শতাংশ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।এবার বিশ্ববিদ্যালয় সহ হল গুলো বন্ধ করে দিলো।শিক্ষার্থীদের তুলনার এখানে শিক্ষক রাজনীতিই বেশি চলে,তা আমাদের ভাবিয়ে তুলে।

অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কর্মকর্তা ও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের পর গত রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয় ভর্তি পরীক্ষা।

এদিকে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত ও হামলার শিকারের প্রতিবাদে গত ১৫ নভেম্বর থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৬১ জন শিক্ষক।

নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত এই শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম। পাশাপাশি যৌন হয়রানির অভিযোগে ২ শিক্ষকের বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯৩ জন শিক্ষকের মধ্যে দেড় শতাধিক শিক্ষক ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গত রোববার হাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক মহসিন আলী ও আবু বক্কর সিদ্দিককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রারকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক মহসিন আলী ও আবু বক্কর সিদ্দিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী নিয়ম-২০০৪ (৩সি) এ চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদ্বয় রেজিস্ট্রারকে অপহরণের নিমিত্তে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়ির দিকে নিয়ে যায়। এ সময় রেজিস্ট্রারকে কিলঘুষি মারা হয়।

এসব পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিজেন্ট বোর্ডের জরুরী সভা মাসব্যাপী বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

Share





Related News

Comments are Closed