সিলেটে গান-কথায় কিংবদন্তি শিল্পী শফিকুন্নূরকে স্মরণ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ‘সুজন বন্ধু রে, আরে ও বন্ধু, কোনবা দেশে থাকো’সহ অসংখ্য গানের জনপ্রিয় শিল্পী প্রয়াত মো. শফিকুন্নূরকে সিলেটে গান ও কথায় স্মরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) রাতে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার গ্রন্থবিপণি বাতিঘরে এ অনুষ্ঠান হয়েছে।
প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের উদ্যোগে রাত পৌনে আটটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
‘বাবার স্মৃতি বাবার গান’ শীর্ষক এ আয়োজনে শফিকুন্নূরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন প্রয়াত শিল্পীর বড় ছেলে জুবের আখতার। এ সময় তিনি তার বাবার গাওয়া ও লেখা জনপ্রিয় বেশ কিছু গান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ। শুরুতেই জুবের আখতারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন গল্পকার জামান মাহবুব, নাট্যব্যক্তিত্ব মু. আনোয়ার হোসেন ও নিরঞ্জন দে, লেখক বিধূভূষণ ভট্টাচার্য, মোস্তাক আহমাদ দীন, পুলিন রায়, সুমন বণিক ও প্রণবকান্তি দেব এবং দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন।
জুবের আখতার তার বাবার স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘শাহ আবদুল করিম, কারি আমির উদ্দীন আহমদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাধক-শিল্পীরা আমাদের বাড়িতে এসেছেন। হাওরাঞ্চলের অনেক মরমিকবিদের নিয়মিত উপস্থিতিতে আমাদের বাড়ি মুখর থাকত।’
আয়োজকেরা জানান, বাউলগানের পাশাপাশি মালজোড়া ও কেচ্ছাগানের জন্য শফিকুন্নূর জীবদ্দশায় ডাকসাইটে শিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার সুর ও দরাজ কণ্ঠের জাদুতে অনেক অপ্রচলিত পল্লিগান এখন অমরতা পেয়েছে। লোকগানে তিনি নিজেও পেয়েছেন কিংবদন্তির মর্যাদা। তার লেখা প্রায় আড়াই শ গান এবং বেশকিছু কেচ্ছা রয়েছে।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল গ্রামে ১৯৪৩ সালের ২৫ জুন শফিকুন্নূর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মারা যান ১৯৯৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড় শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
Related News

সিলেটে হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বয়স্ক এক রোগী নিখোঁজ হয়েছেন। তারRead More

ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকদের তিনRead More
Comments are Closed