Main Menu

তাহিরপুরে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ১

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বান্ধবীর প্ররোচণায় ১৬ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় বান্ধবীসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (২৬) কে। অন্য আসামিরা হলেন একই উপজেলার হৃদয় মিয়া (২৩), শামু (২০), সাগর (২২), রিয়া (১৮) এবং অজ্ঞাত একজন।

এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসামি শামিম মিয়াকে উপজেলার বাঘবেড় থেকে গ্রেপ্তার করে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করে। বুধবার সকালে আসামি শামিমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শামিম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার ছেলে।

গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাহিরপুর উপজেলার বারেক টিলায় এই ঘটনা ঘটে।

মামলার এজহারে বলা হয়, মেয়েটির মা বিদেশে থাকে। মেয়েটি তার নানা বাড়িতে থাকত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার মেয়েটি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরায় তার বান্ধবী রিয়ার বাড়িতে বিয়েতে যায়। ওইদিন রাতে মেয়েটি সেখানে রাতযাপন করে।

পরের দিন সোমবার সকালে রিয়ার বড় ভাই হৃদয় মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় একটি বাজারে বন্ধু শামুর কসমেটিক্স এর দোকানে নিয়ে যায়। সেখান তারা সকাল ১১টায় ফিরে আসে। এদিন দুপুরে রিয়াদের বাড়িতে এসে কসমেটিক্স দোকানী শামু মেয়েটিকে তাহিরপুরের শিমুল বাগানে বেড়ানোর জন্য বলে। প্রথমে মেয়েটি যেতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে বান্ধবীর প্ররোচণায় রাজি হয়। এদিন দুপুর ১টার দিকে আসামি শামু, হৃদয়, সাগরসহ মেয়েটিকে নিয়ে তাহিরপুরে ঘুরতে বের হয়। বেড়ানো শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বারেক টিলা এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তাদের আরেক বন্ধু শামিমকে মোবাইল ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। পরে সেও কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। শেষে তারা রাত ৯টার দিকে মেয়েটিকে রিয়াদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। মেয়েটি বান্ধবী রিয়াকে পুরো ঘটনাটি খুলে বললে কাউকে না জানাতে সে নিষেধ করে।

এদিন রাত ১১টার দিকে রিয়ার বড় ভাই হৃদয় মেয়েটিকে নানার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে অজ্ঞাত একটি জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানায়, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

Share





Related News

Comments are Closed