Main Menu

জৈন্তাপুরের খড়মপুর আদুরী ঝর্ণা এলাকায় চলছে পাথর লুন্টনের মহাযজ্ঞ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর চা-বাগান সংলগ্ন খড়মপুরে লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকা আধুরী ঝর্ণা এলাকায় খনন করে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর উত্তোলন। কোন ভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের থামানো যাচ্ছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পূর্ব পাশে শ্রীপুর চাবাগানের শেষাংশে আরিফুল হক এর মালিকানাধিন ভূমিতে প্রকৃতিক ভাবে একটি ঝর্ণা রয়েছে। সুদীর্ঘ দিন হতে স্থানীয় আধিবাসী (চা-শ্রমিক) পরিবারের লোকজন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সহ গোসল করে আসছে এ ঝর্নায়।

বিগত ৪ বৎসর হতে পর্যটক সহ স্থানীয় জনসাধারনের দৃষ্টি গোচর হয় শ্যামল ছায়ায় বেষ্টিত আধুরী ঝর্ণাটি। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ঝর্ণাটি পরিচিতি লাভ করে।

এদিকে আধুরী ঝর্ণা এলাকার পাথর লুন্টন করতে তৎপর হয়ে উঠে পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা। স্থানীয় একজন সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট ঝর্ণাটি খুড়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলনের ফলে ঝর্ণার নিচ অংশে ফসলী জমি, আশ পাশের পরিবেশ, বসত বাড়ী ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে শ্রীপুর কোয়ারীর জিরো লাইন এলাকা এবং খড়মপুর আধুরী ঝর্ণা এলাকায় চলছে পাথর লুন্টনের মহাযজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ক্ষমতা এবং অত্যাচারের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে শ্রীপুর ও খড়মপুর এলাকায় পাথর লুন্টন, আধিপত্য বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা সর্বসাধারনের জন্য শ্রীপুর পাথর কোয়ারী উন্মুক্ত করে দেওয়ার এবং আধুরী ঝর্ণা এলাকাটি স্থায়ী ভাবে সংরক্ষনের দাবী জানান।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ভাবে পাথর-বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও বিজিবি-পুলিশ সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Share





Related News

Comments are Closed