Main Menu

সংগ্রামী ও কিংবদন্তি বাউল কবি শাহ আব্দুল করিম

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান: বাংলাদেশের সর্বশেষ বাউল সম্রাট হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তিনি হলেন ভাটি বাংলার বাউল কবি শাহ্ আবদুল করিম। দোতারা হাতে দেশ–বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাউল গান গেয়ে। গানের আসরে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক গান বাঁধার মতো বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিন। যেকোনো ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি আপন মনে যেমন তাৎক্ষণিক গান বাঁধতে পারতেন, তেমনি দক্ষ সুরকারের মতো সুরারোপ করে একতারা কিংবা দোতারায় বাজিয়ে গান গাইতেন। এমন বিরল প্রতিভার গুণেই তিনি গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর জনপ্রিয়তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী, মুক্তিকামী ও মেহনতি মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। দোতারা হাতে তিনি সারাটা জীবন অসা¤প্রদায়িকতা ও মেহনতি মানুষের পক্ষে লড়াই করে গেছেন।

শাহ্ আবদুল করিম একজন গণসংগীত শিল্পীও ছিলেন। মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য গণসংগীত রচনা করেছিলেন এবং সারা দেশে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলতেন। তিনি মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্য লাভ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশে গান পরিবেশন করতেন। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিম উপস্থিত মুক্তিকামী জনতার উদ্দেশ্যে মুক্তির জাগরণের গান গেয়েছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যা ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শাহ্ আবদুল করিমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি প্রতিবাদী গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে উজ্জীবিত করতেন। এই দিক দিয়ে বিবেচনা করলে তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তাই তো তিনি গান গেয়ে বলেছিলেন, ‘আমি বাংলা মায়ের ছেলে/জীবন আমার ধন্য যে হায়/ জন্ম বাংলা মায়ের কোলে/বাংলা মায়ের ছেলে/আমি বাংলা মায়ের ছেলে।’ শরিয়তি, মারফতি, দেহতত্ত¡, গণসংগীত, দেশাত্মবোধক, বাউল গানসহ গানের নানা শাখায় তাঁর সাবলীল বিচরণ ছিল। তিনি প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছিলেন।

বাংলাদেশের সর্বশেষ বাউল সম্রাট হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তিনি হলেন ভাটি বাংলার বাউল কবি শাহ আব্দুল করিম। দোতারা হাতে নিয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাউল গান গেয়ে। গানের আসরে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক গান বাঁধার মতো বিরল প্রতিভার অধিকারী তিনি ছিলেন। যে কোনো ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি আপন মনে যেমন তাৎক্ষণিক গান বাঁধতে পারতেন, তেমনি দক্ষ সুরকারের মতো সুরারোপ করে একতারা কিংবা দোতারায় বাজিয়ে গান গাইতেন। এমন বিরল প্রতিভার গুণেই তিনি গ্রামবাংলার মানুষের কাছে খুব দ্র¤œত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার জনপ্রিয়তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন অসা¤প্রদায়িক, সাম্যবাদী, মুক্তিকামী ও মেহনতি মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। দোতারা হাতে তিনি সারাটা জীবন অসা¤প্রদায়িকতা ও মেহনতি মানুষের পক্ষে লড়াই করে গেছেন। তিনি একজন গণসংগীত শিল্পীও ছিলেন। মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য গণসংগীত রচনা করেছিলেন এবং সারাদেশে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলতেন।

শাহ আব্দুল করিমের অসা¤প্রদায়িক চেতনায় রচিত গানগুলো এখনো আমাদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের দেশে সামাজিক ও ধর্মীয় স¤প্রীতির প্রসঙ্গে কোন কথা হলেই সর্বপ্রথম মনে পড়ে যায় করিমের সেই বিখ্যাত গান, “গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান/ মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম/ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।” এই গানে তিনি বাঙালিদের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এই গানের মাঝে নিহিত আছে হাজার বছরের বাঙালির স¤প্রীতির বন্ধন। অপর একটি গানে করিম গেয়ে ছিলেন, “হিন্দু-মুসলিম এটা বড় নয়/ আমরা বাঙালি, আমরা মানুষ।” এমন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গান আছে- যা বাঙালির আচার অনুষ্ঠানে সমাদৃত ও প্রচলিত। তিনি যা উপলব্ধি করতেন, তাই তিনি রচনা ও সুরারোপ করে গাইতেন। তার এসব গানগুলো শুধু শুনলেই চলবে না, সামাজিক ও ধর্মীয় স¤প্রীতি বজায় রাখতে আমাদেরও উপলব্ধি করতে হবে। আব্দুল করিমের অসা¤প্রদায়িক চেতনার কারণে অনেকেই তাকে নাস্তিক বলে অভিহিত করে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি নাস্তিক নই, কমিউনিস্ট নই। আমি আলস্নাহর ওপর বিশ্বাসী। শেষ নিঃশ্বাস যেন ত্যাগ করি আলস্নাহ আলস্নাহ বলে। এটাই আমার শেষ কথা। তারা আমাকে নাস্তিক বা অন্য যা কিছু বলুক।” তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন শোষণহীন সামাজিক ও ধর্মীয় স¤প্রীতির সবুজ শ্যামল সোনার বাংলাদেশ। তাই তিনি বাউল শিল্পী হয়েও সাধারণ মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে তিনি যেসব গণসংগীত রচনা করেছিলেন, তা গ্রাম বাংলার মানুষকে আন্দোলনে দিকে প্রভাবিত করতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখে ছিল। তার একটা বিখ্যাত গণসংগীতে তিনি গেয়েছিলেন, “এই দেশের দুর্দশার কথা/ কইতে মনে লাগে ব্যথা/ খোরাক বিনা যথাতথা/ মানুষ মারা যায়।” এই চারটি লাইনেই সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের অনাহারি মানুষের জন্য তার হৃদয় কতটা দগ্ধ হয়। বাস্তবে তিনি নিজের সারাটা জীবন দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে গেছেন। তাই নিন্মবর্ণের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথাই তিনি সুগভীর উপলব্ধি থেকে তার বিভিন্ন গানে ফুটিয়ে তুলেছেন।

শাহ আবদুল করিম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইব্রাহিম আলী ছিলেন একজন দরিদ্র কৃষক, মাতা নাইওরজান বিবি ছিলেন পুরোদস্তুর গ্রাম্য গৃহিণী। শাহ আবদুল করিম বাল্যকালে শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ পাননি। বারো বছর বয়সে তিনি নিজ গ্রামের এক নৈশবিদ্যালয়ে কিছুকাল পড়াশোনা করেন। সেখানেই তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে নিজের চেষ্টায় তিনি স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া শাহ আব্দুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শাহ আবদুল করিমের দাদা নসীবউলস্নার বাউলসত্তাই তার মধ্যে প্রথম প্রভাব ফেলেছিল। দাদার মুখে শোনা আধ্যাত্মিক গান “ভাবিয়া দেখ তোর মনে/ মাটির সারিন্দারে বাজায় কোন জনে” থেকেই গানের প্রতি দরদ অনুভব করেন। একতারাতে সুর তোলার শিক্ষা পেতে দূরে যেতে হয়নি, দাদার কাছেই শৈশবের এই শিক্ষা নিয়ে ছিলেন। এভাবেই পথ চলতে চলতে কিশোর করিম যৌবনে পা দিয়ে হয়ে যান বাউল আবদুল করিম। তবে বাউল করিমের গানের জগতে আসাটা এত সহজ ছিল না। গান গাওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে নিজের গ্রাম থেকে বিতাড়িত হতে হয়। এমনকি বিয়ে করা প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ভাঙে একমাত্র গান গাওয়ার কারণেই। ১৯৪৫ সালে তার আপন মামাতো বোন কাঁচামালা বিবির সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয়। ‘গান অথবা বউ’ এমন একটি শর্তের তোপে দেড় বছরের মাথায় এই বিয়ে ভেঙে যায়। কারো কথায়ই বাউল করিম তার চিরসঙ্গী গানকে ছাড়তে পারেননি। গানই তার সব ছিল, ছোটবেলা থেকেই সব অপ্রাপ্তি তিনি গানের সুরে ঢেকে দিয়েছেন। তাই তিনি গানে গানে গেয়ে ছিলেন, “গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন তাতে পাগলপারা/ আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া-গান ছাড়া।”

পরবর্তী সময়ে ১৯৫৮ সালে আবার ঘর বাঁধলেন মমজান বিবির সঙ্গে। তিনিই ছিলেন তার প্রকৃত সহধর্মিণী, চলার পথের সত্যিকারের সাথী। ভালোবেসে বাউল করিম তার নাম দিলেন ‘সরলা’। বাউলের গান বাঁধার নতুন প্রেরণা হলেন এই সরলা। বেশ সুখেই দিন কাটে দু’জনের, গানের পথে কখনোই বাধা হননি মমজান বিবি কিংবা সরলা। পরবর্তী সময়ে শাহ আবদুল করিম তার প্রিয়তমা পত্নী সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আজকের এই করিম কখনোই করিম হয়ে উঠতে পারতো না, যদি কপালের গুণে সরলার মতো বউ না পেতাম।” বোঝাই যাচ্ছে সরলাকে পেয়ে সুগম হয়েছিল বাউলের সংগীতযাত্রা। সুরে সুরে আরো দরদে মরমী কবি মরমে প্রবেশ করলেন সরলার সঙ্গ পেয়ে। “বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরীতি শিখাইছে”- বাংলাদেশের অলিতে-গলিতে, গ্রামে-গঞ্জে কিংবা শহুরে হট্টগোল! জোরে জোরে বাজানো ডিজে মিউজিক অথবা গ্রামের জমায়েত আসর! কে না শুনেছে এই গান? কিন্তু এই সুখও বেশি দিন সইলো না তার ভাগ্যে। অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসা মারা যান সরলা। এই ঘটনার একটা গাঢ় ছাপ পড়ে বাউলের মনে ও গানে। আকুল হয়ে বাউল সরলার বিরহে গেয়ে উঠেছেন, “আর জ্বালা সয় নাগো সরলা/ আমি তুমি দু’জন ছিলাম, এখন আমি একেলা।” একাকিত্ব আগেও ছিল, কিন্তু প্রকৃত সঙ্গ পেয়ে একা হওয়ার বেদনা আগেকার সেই একাকিত্বের চেয়ে বহুগুণ বেশি। হয়তো সরলার জন্যই বাউল মন কেঁদে উঠেছে আর বিরহের সুরে উজান ধলের তীরে বসে তিনি চোখের জলে গেয়েছিলেন, “কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু/ ছেড়ে যাইবা যদি?/ কেমনে রাখবি তোর মন/ আমার আপন ঘরে বাঁধিরে বন্ধু/ ছেড়ে যাইবা যদি।” আজো বহু বিরহীর সুর হয়ে ধীর লয়ে বাজতে থাকে এই বিখ্যাত গানটি। সরলার মৃত্যুর পর তিনি পুরোপুরিভাবেই দেহতত্ত¡ ও আধ্যাত্মিক ধারার গানের দিকে ধাবিত হন। যার ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি তার বিখ্যাত গান, “গাড়ি চলে না, চলে না/ চলে না রে, গাড়ি চলে না” কিংবা “কোন মেস্তুরি নাও বানাইছে/ কেমন দেখা যায়/ ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নাও।” এছাড়াও আরও স্রষ্টার সন্ধানে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে তিনি গেয়েছিলেন আরেকটি বিখ্যাত গান, “দিবা-নিশি ভাবি যারে/ তারে যদি পাই না/ রঙের দুনিয়া তোরে চাই না।”

শাহ আব্দুল করিমের মোট সাতটি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো- আফতাব সংগীত (১৯৪৮), গণসংগীত (১৯৫৭), কালনীর ঢেউ (১৯৮১), ধলমেলা (১৯৯০), ভাটির চিঠি (১৯৯৮), কালনীর কুলে (২০০১) ও শাহ আব্দুল করিম রচনাসমগ্র (২০০৯)।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)-এর মোড়কে উন্মোচিত হয়েছিল। এছাড়াও সুমনকুমার দাশ সম্পাদিত শাহ আব্দুল করিম স্মারকগ্রন্থ (অন্বেষা প্রকাশন) তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়। তার মৃত্যুর আগে ও পরে শাহ আব্দুল করিমকে নিয়ে সুমন কুমার দাশের ‘বাংলা মায়ের ছেলে: শাহ আব্দুল করিম জীবনী’ (অন্বেষা প্রকাশন), “সাক্ষাৎ কথায় শাহ আব্দুল করিম ‘(অন্বেষা প্রকাশন), ‘শাহ আব্দুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘বাউলসম্রাট শাহ আব্দুল করিম’ (উৎস প্রকাশন), ‘গণগীতিকার শাহ আব্দুল করিম’ (উৎস প্রকাশন) প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয় সুমন কুমার দাশের ‘শাহ আব্দুল করিম: জীবন ও গান’ বইটি। এ বইটি ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরী পদক, রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, লেবাক অ্যাওয়ার্ড, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আজীবন সম্মাননা, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজীবন সম্মাননা, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি সম্মাননা, খান বাহাদুর এহিয়া পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, হাতিল অ্যাওয়ার্ড ও এনসিসি ব্যাংক এনএ সম্মাননা। এ ছাড়া শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘ভাটির পুরুষ’ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। সুবচন নাট্য সংসদ তাকে নিয়ে শাকুর মজিদের লেখা ‘মহাজনের নাও’ নাটকের ৮৮টি প্রদর্শনী করেছে। এ ছাড়াও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। বাংলার সর্বশেষ মুকুটবিহীন বাউল সম্রাট ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের নূরজাহান পলি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শাহ আব্দুল করিমের মৃত্যুর শোকের ছায়া এখনো তার ভক্তদের গভীর শোকে আচ্ছন্ন করে। তিনি তার অমর সৃষ্টিতে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ভাটি বাংলার বাউল কবি শাহ্ আব্দুল করিমের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ভালোবাসা।

লেখক- গবেষক ও কলামিস্ট, পাঠান পাড়া (খান বাড়ী) কদমতলী, সিলেট-৩১১১।

Share





Related News

Comments are Closed