Main Menu

বৃহস্পতিতে গ্রহাণুর আঘাত!

প্রযুক্তি ডেস্ক: হঠাৎ জ্বলে ওঠে সৌরজগতের গ্যাস জায়ান্ট জুপিটারের একটি ছোট অংশ। আর এই ঘটনাই ক্যামেরাবন্দি করেন ব্রাজিলের নতুন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ব্রাজিলের হোসে লুইস পেরেইরা হঠাৎ ছবি তোলেন সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির গায়ের ছোট্ট ঝিলিক।

জোভিয়ান গ্রহের বায়ুমণ্ডলে আরেকটি মহাকাশের গ্রহাণুর ভয়াবহ মৃত্যু হলো। হোসে জানান, বেশ কিছুদিন হলো গ্রহগুলো পর্যবক্ষেণ করছেন তিনি।

বৃহস্পতি, শনি আর মঙ্গল যখন ব্যতিক্রম দিকনির্দেশনায় অবস্থান করছিল, তখনই এই গ্রহগুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করেন তিনি। বিশেষ করে রাতের আকাশে জুপিটারকে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

এই সপ্তাহে ব্রাজিলের সাও পাওলোর একটি স্থানে পেরেইরা নিজের ক্যামেরা নিয়ে অন্যান্য রাতের মতোই বসে ছিলেন। জুপিটারের ছবি তোলাই ছিল তার উদ্দেশ্য। ক্যামেরা তাকও করে রেখেছিলেন। হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখতে পান তিনি জুপিটারের গায়ে।

রাতের আকাশে বিশাল এই গ্যাস জায়ান্টের গায়ে আলোর ঝলকানি বেশ স্পস্ট ছিল। আবহাওয়া খুব একটা ভালো ছিল না। তারপরও জুপিটারের বিরতিহীন ২৫টি ভিডিও করেন তিনি।

হোসে জানান, এটা তার জন্য বিস্ময়কর। হঠাৎ এই গ্রহে আলোর ঝিলিক দেখতে পান তিনি। শুরুর দিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দেখে যাচ্ছিলেন কি হয়। ক্যামেরা তাক করে রেকর্ডে রেখেই শুয়ে পড়েন তিনি।

পরদিন সকালে দেখেন কি ভিডিও হয়েছে। ভিডিওতে জুপিটারের গায়ে আলোর ঝিলিক দেখে তিনি আরও জ্যোতির্বিদদের খবর দেন। তারাই জানান, যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন হোসে।

গ্রহাণু বেল্টের বেশ কাছেই জুপিটারের অবস্থান। তাছাড়া জুপিটারের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও অনেক শক্তিশালী। অনেক সময়ই আলোর ঝিলিক দেখা যায় এই গ্রহে। ১৯৯৪ সালে কমেট শুমেকার লেভি নাইন জুপিটারের গায়ে ভেঙে পড়ে।

বড় একটি স্পট তৈরি হয়, যেটি কয়েক মাস স্থায়ী ছিল। ১৫ বছর আগে আরেকটি আলোর ঝিলিক দেখা গেছে জুপিটারে। প্রশান্ত মহাসাগরের আকারের একটি গ্রহাণু জুপিটারের বায়ুমণ্ডলে গেছে। সে সময়ও বড় আলোর ঝলকানি দেখা গেছে এই গ্যাস জায়ান্টে।

মূলত এই গ্যাস জায়ান্টের আশপাশে কিংবা বায়ুমণ্ডলে কোনো গ্রহাণুই টিকতে পারে না, গায়েব হয়ে যায়। এভাবেই সৃষ্টির শুরু থেকে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করে পৃথিবীকে রক্ষা করছে বৃহস্পতি।

সূত্র: স্পেস ডট কম

Share





Related News

Comments are Closed