Main Menu

যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবিলায় এবার কঠোর অবস্থানে যুক্তরাজ্য। আগামী সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে। ব্রাজিলে করোনার নতুন স্ট্রেইন চিহ্নিত হওয়ার পর দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগাল থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের স্থল, নৌ ও আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে অন্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। তারপরও তাকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) দেশটিতে নতুন করে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন ৪৮ হাজার ৬৮২ জন ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বরিস বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবুও সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছেই। এখন আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

বরিস জনসন বলেন, একদিকে করোনার ভ্যাকসিন আমাদের আশা দেখাচ্ছে, অন্যদিকে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে করোনার নতুন নতুন ধরন যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ছে। করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় আমাদের এখনই অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

যুক্তরাজ্যে ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ফাইজারের টিকাও নিচ্ছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৩২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

Share





Related News

Comments are Closed