Main Menu

ছাতকে পৃথক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশু ও দিনমজুরের

হাসান আহমদ, ছাতক থেকে: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় একদিনে পৃথক তিনটি দূর্ঘটনায় শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫জন।

সোমবার সকাল, দুপুর ও বিকেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছাতক উপজেলায় এ তিনটি দূর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের চৌকা পয়েন্ট এলাকায় সকালে সড়ক পারাপারের সময় সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় একবার হোসেন (১১) নামের এক শিশু আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের পরশপুর গ্রামের দিনমজুর আবদুল মনাফের ছেলে। সকালে শিশুটি বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতিদিনের মতো চৌকা পয়েন্টে ভ্রাম্যমান শ্রমিকের কাজে যাচ্ছিল। সড়ক পারাপারের সময় ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যার পর তার দাফন সম্পনś হয়েছে।

এদিকে দুপুরে সড়কের জাউয়াবাজারের সেতুর পশ্চিমে যাত্রীবাহী বাস (নং-ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০৮৪৫) ও প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৭৪৫৯) এর মধ্যে সংঘর্ষে চালকসহ ৫যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাইভেট কারের চালক ও আহত যাত্রীদের ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তছলিম উদ্দিন ও ছবিরুল ইসলাম নামের আহত দু’জন ছাড়া অন্যান্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সড়কের জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দূর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কারটি আটক করেন।

অপর দিকে বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে নির্মানাধিন গোলচত্ত্বর এলাকায় সুনামগঞ্জগামী মালবাহী চলন্ত ট্রাকের ( ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-০৩০৮) চাকার নীচ থেকে বড় একটি পাথর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় বাহার উদ্দিন (৬০) নামের এক পথচারী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউনিয়নের কৃঞ্চনগর গ্রামের মৃত আইনুল্লার দিনমজুর ছেলে। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। লাশ দু’টি ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পনś হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সড়কের জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আমির উদ্দিন জাউয়াবাজারে প্রাইভেট কার ও বাসের সাথে সংঘর্ষে ৫জন আহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও শিশু ও ভ্যানচালক মারা যাওয়ার বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা উন্নয়ন ও আরসিসি কাজের নামে নির্মানাধিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ধীরগতিতে কাজ করছে। পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রাচীনতম একটি কারভার্টকে সংস্কার না করে ওই কালভার্টের উপর করা হয়েছে আরসিসি কাজ। তাদের অবহেলায় গোলচত্ত্বরের কিছু অংশে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মিনি পুকুর ও গর্তে পড়ে প্রতিদিন ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। নির্মানাধিন সড়ক খুড়াখুড়ি করে মাটির নীচ থেকে বড় বড় পাথর বেরিয়ে আসছে। ওই পাথরগুলো আবারও রাস্তার উপর দেয়ার ফলে মালবাহী ট্রাক চলাচলের সময় চাকার নীচে পড়ে একটি পাথর ছিটকে পড়ে বাহার নামের দিনমজুরের মৃত্যু হয়। পাথরটি বাহারের বুকে ও হাতে প্রচন্ড আঁঘাত লাগে। একটি হাতের হাড়ও ভেঙ্গে গেছে।

Share





Related News

Comments are Closed